এনার্জি সেভিং ল্যাম্প কাকে বলে? এনার্জি সেভিং ল্যাম্পের গঠন ও সুবিধা।

যে ল্যাম্পের সাহায্যে এনার্জি সেভ করে বৈদ্যুতিক শক্তিকে আলোক শক্তিতে রূপান্তরিত করে, তাকে এনার্জি সেভিং ল্যাম্প বলে।
বাজারে ৯, ১১, ১৩, ১৫, ১৮, ২০, ২৩, ২৪, ২৮ ওয়াটের এনার্জি সেভিং ল্যাম্প পাওয়া যায়। ১০০ ওয়াটের ইনক্যানডিসেন্ট বাতির প্রায় সমপরিমাণ লিউমেন একটি ১৮ ওয়াটের এনার্জি সেভিং ল্যাম্প হতে পাওয়া যায়।
এনার্জি সেভিং ল্যাম্প নিম্নলিখিত অংশসমূহ নিয়ে গঠিত-
(ক) কন্টাক্ট পয়েন্ট;
(খ) পিন;
(গ) ‘ইউ’ আকৃতির নল;
(ঘ) কনভার্টার;
(ঙ) ইনভার্টার;
(চ) সিল করা পাত্র।
এনার্জি সেভিং ল্যাম্পের সুবিধা।
নিচে এনার্জি সেভিং ল্যাম্প ব্যবহারের সুবিধাগুলো তুলে ধরা হলোঃ
  • খরচ কমঃ একটা এনার্জি সেভিং ল্যাম্প প্রথমে কিনতে খরচ বেশি পড়লেও এটি সাধারণ ল্যাম্পের চেয়ে অনেক বেশি দিন টিকে। পাশাপাশি এই ল্যাম্প ব্যবহারে অনেক কম কারেন্ট বিল আসবে।
  • শক্তির ব্যবহারঃ এনার্জি সেভিং ল্যাম্প চালনা করতে কম শক্তির প্রয়োজন হয়। হিসেবে করে দেখা গেছে প্রতি পরিবারে যদি একটি করে সাধারণ ল্যাম্পের বদলে এনার্জি সেভিং ল্যাম্প ব্যবহার করে তবে যে পরিমাণ শক্তি বাঁচে তা দিয়ে প্রতি বছরে ৩০ লক্ষ পরিবারে তড়িৎ সংযোগ দেয়া যাবে।
  • জীবাশ্ম জ্বালানিঃ আমরা যদি এনার্জি সেভিং ল্যাম্প ব্যবহার করে শক্তির অপচয় কমাতে পারি তবে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর আমাদের নির্ভরতা কমাতে পারি। কারণ, জীবাশ্ম জ্বালানি দিয়ে তড়িৎ উৎপাদনের ফলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে।
  • পরিত্যক্ততার চাপঃ এনার্জি সেভিং ল্যাম্প সাধারণ ল্যাম্পের চেয়ে বেশি দিন টিকে। ফলে কম সংখ্যক ল্যাম্প নষ্ট হয়। এদের ময়লা আবর্জনা ব্যবস্থাপনায়ও সুবিধা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *