কুরবানি কাকে বলে? কুরবানির প্রথা চালু হয় কেন? কুরবানির শিক্ষা।

আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে ১০ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে গৃহপালিত হালাল পশু আল্লাহর নামে উৎসর্গ করাকে কুরবানি বলে।

কুরবানির প্রথা চালু হয় কেন?
হযরত ইবরাহিম (আ.) ও তার পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.)-এর ত্যাগের স্মরণে কুরবানির প্রথা চালু হয়।

মহান আল্লাহ ইবরাহিম (আ.) কে প্রিয়বস্তু কুরবানির আদেশ করেন। এ আদেশ পালনার্থে তিনি প্রিয়পাত্র হিসেবে পুত্র ইসমাইলকে কুরবানি করার প্রস্তুতি নেন। কিন্তু মহান আল্লাহ পিতা ও পুত্রের এ ত্যাগে খুশি হয়ে ইসমাইলের পরিবর্তে দুম্বা কুরবানি করে দেন। ত্যাগের এ অপূর্ব ঘটনাকে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্যই কুরবানির প্রথা চালু হয়।

কুরবানির শিক্ষা
১. মুসলিমদের ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত করাই কুরবানির উদ্দেশ্য।
২. আমাদের জান-মাল, জীবন-মৃত্যু আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করা।
৩. কুরবানি দ্বারা আল্লাহ তায়ালা মানুষের তাকওয়া যাচাই করেন। আল্লাহর কাছে কুরবানির পশুর রক্ত, মাংস কিছুই পৌঁছায় না, পৌঁছায় শুধু অন্তরের তাকওয়া ও নিষ্ঠা।
৪. মানুষের মধ্যে যেমন মনুষ্যত্ব আছে, তেমনি পশুত্বও আছে। কুরবানির মাধ্যমে পশুত্বকে হত্যা করে মনুষ্যত্বকে জাগিয়ে তোলা হয়। মানুষের লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ, অহংকার ইত্যাদি পাশবিক চরিত্র বিসর্জন দিয়ে মানবীয় গুণাবলি উজ্জীবিত করতে পারলেই কুরবানি স্বার্থক হয়।
৫. কুরবানির একটি অংশ গরিব-মিসকিনকে দিতে হয়, এতে তাদের একটু ভালো খাওয়ার সুযোগ হয়। আত্মীয়স্বজনকে দিতে হয়, এতে পরস্পরের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়। সকলের মধ্যে আন্তরিকতা বৃদ্ধি পায়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *