পড়াশোনা
1 min read

মার্ক-১ কম্পিউটার (Mark-1 computer) এর ইতিহাস ও বৈশিষ্ট্য।

মার্ক-১ কম্পিউটারের ইতিহাস
১৯৩৭ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাওয়ার্ড আইকেন হলােরিথের পাঞ্চকার্ড প্রযুক্তির সঙ্গে বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতির সমন্বয় ঘটিয়ে স্বয়ংক্রিয় গণনার যন্ত্র তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। আইবিএম কোম্পানির সহায়তায় ১৯৪৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথিবীর প্রথম বৈদ্যুতিক কম্পিউটার তৈরি করেন। চার্লস ব্যাবেজের এ্যানালাইটিক ইঞ্জিনের এটি ছিল একটি বাস্তব রূপ। আইবিএম ASCC (Automatic Sequence Controlled Calculator) কে মার্ক ১ কম্পিউটার বলা হয়। মার্ক ১ এর প্রধান সুবিধা ছিল এ মেশিনটি ছিল সম্পূর্ণ অটোমেটিক। একবার চালু করা হলে কাজ করার জন্য এতে কোন মানুষের সাহায্য দরকার হতাে না। এর কাজ-কর্ম ইতােপূর্বে তৈরি কম্পিউটারগুলাের চেয়ে অনেক উন্নত ধরনের ছিল। মার্ক ১ এর সফলতাকেই আধুনিক কম্পিউটারের সূচনা হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।

মার্ক-১ কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য
১. পৃথিবীর প্রথম অটোমেটিক ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল কম্পিউটার।
২. এর সাহায্যে যােগ, বিয়ােগ, গুণ, ভাগ এবং ত্রিকোণমিতিক ফাংশান ছাড়াও অনেক জটিল গাণিতিক কাজ করা যেত।
৩. এর দৈর্ঘ্য ৫১ ফুট, লম্বা, ৮ ফুট এবং ওজন প্রায় ৫ টন।
৪. মার্ক-১ এ ব্যবহৃত হয়েছিল ৭,৬৫,০০০টি বিভিন্ন যন্ত্রাংশ এবং শতাধিক মাইল লম্বা তার।
৫. মার্ক-১ তার নির্দেশনাগুলাে পাঞ্চ পেপার টেপ থেকে পড়ে নিত এবং তাৎক্ষণিক নির্দেশনাগুলাে সম্পাদন করার পর । পরবর্তীটি পড়ত।

3/5 - (2 votes)