ক্যাম্পাস
1 min read

জুনিয়রদের ম্যানার শিখানোকে কেন্দ্র করে সিনিয়র ভাইদের মাঝেই সংঘর্ষ

নবীনদের ‘ম‍্যানার’ শিখানোকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মার্কেটিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে মারমারিতে জড়িয়ে পড়েন।

২রা মার্চ (বুধবার) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে এ ঘটনা ঘটে। বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

এর আগে মার্কেটিং বিভাগের জুনিয়র ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শেষে ‘ম‍্যানার’ শেখানোর নাম করে একই বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কিছু শিক্ষার্থী শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে। তারা সবাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট বলে জানা যায়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলার সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনার সূত্র ধরে এই দিন সন্ধ্যায় এক সহপাঠীর ফোন কলে মার্কেটিং বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী দ্বীন ইসলাম, রাসেল, সুমন, পাভেল ও শরীফ মুক্তমঞ্চে যায়। তখন তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে আকষ্মিকভাবে পাভেলকে আক্রমন করে একই বিভাগের সহপাঠী রেজোয়ান, সাফায়েত, তুষার সহ আরো কয়েকজন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাভেল রানা বলেন, ‘ আমাকে আমার বান্ধুবী সানজানা ইসলাম কল দিয়েছে তাই আমি সহ আমার হলের কয়েকজন বন্ধু মিলে সেখানে যাই। যাওয়ার পর দেখতে পাই সেখানে আমাদের ক্লাসের আরো কয়েকজন বন্ধু উপস্থিত ছিলো তারপর বুঝতে পারলাম তারা পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে।’

এ ব্যাপারে সানজানা ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কথা বলতে অসম্মতি জানিয়ে ফোন কেটে দেন।

বঙ্গবন্ধু হলে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, হটাৎ পাভেলের সহপাঠী শরীফ দৌড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে এসে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে। এমতবস্থায় হলে অবস্থান করা শিক্ষার্থীরা তার সাথে বের হতে চায়। তখন হলে অবস্থানরত কুবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এবং পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু হলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কথা বলেন।

এ ব্যাপারে কুবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদ বলেন, এ বিষয়টি একটি বিভাগের নির্দিষ্ট একটি ব্যাচের সমস্যা। ছাত্রলীগের কোন ঘটনা নয়। তবে উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখে আমি তৎক্ষণাৎ সবাইকে ঘটনা স্থলে যেতে বাধা দেই এবং ওদের সিনিয়রদের ব্যাপারটি বুঝিয়ে দেই। যাতে পরবর্তীতে আর এরকম কোন ঘটনা না ঘটে।

এ ব্যাপারে কুবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন,
এটি একটি তুচ্ছ ঘটনা। আমি পরবর্তীতে ঘটনা স্থলে এসে সবকিছু জেনে দুই পক্ষকে মিলিয়ে দিয়েছি।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমি ছাত্র প্রতিনিধি ও প্রক্টরিয়াল টিমকে পাঠিয়েছিলাম। তারা সেখানে যাওয়ার পর কাউকে পায় নি। এ ব্যাপারে কালকে আমরা বসে সিদ্ধান্ত নিব।

Rate this post