স্ব-পরাগায়ন কাকে বলে? স্ব-পরাগায়নের সুবিধা কি?

একই ফুলে বা একই গাছের ভিন্ন দুটি ফুলের মধ্যে যখন পরাগায়ন ঘটে তখন তাকে স্ব-পরাগায়ন বলে। যেমন- সরিষা, ধুতুরা ইত্যাদি উদ্ভিদে স্ব-পরাগায়ন ঘটে।

স্ব-পরাগায়নের সুবিধা
স্ব-পরাগায়নের বেশকিছু সুবিধা রয়েছে। সুবিধাগুলো হলো- স্ব-পরাগায়নে পরাগরেণুর অপচয় কম হয়, পরাগায়নের জন্য বাহকের ওপর নির্ভর করতে হয় না এবং পরাগায়ন নিশ্চিত হয়। স্ব-পরাগায়নের ফলে উৎপন্ন উদ্ভিদে বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঘটে না বলে প্রজাতির গুণাগুণ অক্ষুণ্ণ থাকে। কোন একটি উদ্ভিদ প্রজাতির চরিত্রগত বিশুদ্ধতা বজায় রাখতে স্ব-পরাগায়নই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এ সম্পর্কিত আরও প্রশ্ন ও উত্তরঃ–

১। ইমাস্কুলেশন বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : কোন উদ্ভিদের পুংকেশরগুলোকে বন্ধ্যাকরণ বা অকার্যকর করাকে ইমাস্কুলেশন বলে। যে পুষ্পকে মাতৃপুষ্প হিসেবে ধরা হয় তা যদি উভলিঙ্গ হয় তাহলে ইমাস্কুলেশন করা হয়। পরিপক্ক হবার আগেই পুষ্প থেকে পুংকেশর সরিয়ে ফেলাকে ইমালেশন। বলা হয়। ইমাস্কুলেশনের ফলে স্বপরাগায়ন ঘটতে পারে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *