নিয়ন্ত্রিত মাইটোসিসের মাধ্যমে একটি থেকে দুটি, দুটি থেকে চারটি কোষ উৎপন্ন হয়। কোনো কারণে এ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হলে অস্বাভাবিক কোষ বিভাজন চলতে থাকে। একেই অস্বাভাবিক কোষ বিভাজন বলে। ক্যান্সার, টিউমার প্রভৃতি জটিল রোগ অস্বাভাবিক কোষ বিভাজনের ফলে সৃষ্টি হয়।

মাইটোসিসের বৈশিষ্ট্য কী কী?

মাইটোসিসের বৈশিষ্ট্য নিচে দেওয়া হলোঃ

  • মাইটোসিসের ফলে একটি নিউক্লিয়াস থেকে দুটি নিউক্লিয়াসের সৃষ্টি হয়।
  • মাইটোসিস বিভাজনের মাতৃকোষের প্রতিটি ক্রোমোজোম সেন্ট্রোমিয়ারসহ লম্বালম্বিভাবে সমান দুঅংশে ভাগ হয় এবং প্রতিটি অংশ এর নিকটবর্তী মেরুতে গমন করে। ফলে সৃষ্ট নতুন কোষদুটিতে ক্রোমোজোম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোজোম সংখ্যার সমান থাকে। তাই মাইটোসিসকে ইকোয়েসনাল বা সমীকরণিক বিভাজনও বলা হয়।
  • প্রতিটি ক্রোমোজোম লম্বালম্বিভাবে বিভক্ত হয়ে যে দুটি ক্রোমাটিড তৈরি করে তা অপত্য ক্রোমোজোম হিসেবে দুটি অপত্য নিউক্লিয়াসে প্রবেশ করে। কাজেই অপত্য কোষদুটি সর্বতোভাবে সমগুণসম্পন্ন হয়।
  • মাইটোসিস বিভাজনের ফলে সৃষ্ট কোষ বৃদ্ধি পেয়ে মাতৃকোষের সমান হয়।
  • অপত্য কোষের ক্রোমোজোম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোজোম সংখ্যার সমান হয়।
Rate this post

By Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.