ফ্লু গ্যাস বিভিন্ন গ্যাসের মিশ্রণ যা চুল্লির দহন ও অন্যান্য বিক্রিয়া থেকে উৎপন্ন হয়। মূলত চিমনি দিয়ে নির্গত গ্যাস মিশ্রণকে ফ্লু গ্যাস বলা হয়। ফ্লু গ্যাসের মূল উপাদান নাইট্রোজেন যৌগ, কার্বন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, জলীয় বাষ্প ও সালফার ডাই-অক্সাইড।

রসায়ন (Chemistry) বিষয়ের আরও প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। ডি.ডি.টি আবিষ্কারের জন্য কোন বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার লাভ করেন?

উত্তরঃ পল হারম্যান মুলার।

প্রশ্ন-২। অ্যামোনিয়া গ্যাসের ধর্ম কি কি?

উত্তরঃ অ্যামোনিয়া গ্যাসের ধর্মগুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

  • অ্যামোনিয়া একটি ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত বর্ণহীন গ্যাস।
  • অ্যামোনিয়া গ্যাস পানিতে অত্যন্ত দ্রবণীয়।
  • অ্যামোনিয়া গ্যাস ক্ষারধর্মী।
  • অ্যামোনিয়া গ্যাস দাহ্যও নয় এবং দহনের সহায়কও নয়।
  • অ্যামোনিয়া বাতাস অপেক্ষা হালকা।
  • অ্যামোনিয়া হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে অ্যামোনিয়া ক্লোরাইডের সাদা ধোঁয়া উৎপন্ন করে।

 

প্রশ্ন-৩। ভিনাইল ক্লোরাইডের ব্যবহার লেখো।

উত্তরঃ ভিনাইল ক্লোরাইডের ব্যবহার নিচে দেওয়া হলো–

  1. এটি পলিভিনাইল ক্লোরাইড নামক PVC পলিমার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
  2. এটি অ্যারোসল স্প্রে তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
  3. এটি চেতনানাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
  4. এটি রেফ্রিজারেশনের কাজে ব্যবহৃত হয়।
  5. এটি অটোমোবাইল ও গৃহসজ্জার সামগ্রী বার্নিশিং এর কাজে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন-৪। বিরল অ্যামিনো এসিড কি?
উত্তরঃ বিরল অ্যামিনো এসিড হলো হাইড্রোক্সিপ্রোলিন।
প্রশ্ন-৫। প্রথম কোন জৈব যৌগ সংশ্লেষিত হয়? এটি কে আবিষ্কার করেন?
উত্তরঃ প্রথম যে জৈব যৌগটি সংশ্লেষিত হয়, তা হল অ্যাসিটিক অ্যাসিড (CH₃COOH)। ১৮৪৫ সালে বিজ্ঞানী কোলবে পরীক্ষাগারে কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন ঘটিত এই জৈব যৌগটি প্রস্তুত করেন।
প্রশ্ন-৬। আন্তঃআণবিক স্থান কাকে বলে?
উত্তরঃ যে কোন পদার্থের মধ্যে বিদ্যমান কণা বা অণুসমূহের পরস্পরের মধ্যে যে ফাঁকা স্থান থাকে তাকে আন্তঃআণবিক স্থান বলে।
প্রশ্ন-৭। আয়নিক যৌগের বৈশিষ্ট্য কী কী?
উত্তরঃ আয়নিক যৌগের বৈশিষ্ট্য নিচে তুলে ধরা হলোঃ
  • আয়নিক যৌগের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক খুব বেশি।
  • আয়নিক যৌগ কঠিন অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে না, কিন্তু গলিত এবং দ্রবীভূত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে।
  • আয়নিক যৌগসমূহ পানিতে দ্রবীভূত হয়।
  • অপোলার দ্রাবকে আয়নিক যৌগ দ্রবীভূত হয় না।
  • আয়নিক যৌগে আয়নিক বন্ধন বিদ্যমান থাকে।
  • ইলেকট্রন আদান-প্রদানের মাধ্যমে আয়নিক যৌগ গঠিত হয়।
  • সকল আয়নিক যৌগে প্রতিটি আয়ন তার চতুর্দিকে বিপরীত আধানযুক্ত আয়ন দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে।
প্রশ্ন-৮। পরমাণু ইলেকট্রন কক্ষপথ কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন মৌলের পরমাণুতে ইলেকট্রনসমূহ যে নির্দিষ্ট পথে নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে পরিভ্রমণ করে বলে কল্পনা করা হয়, তাকে পরমাণুর ইলেকট্রন কক্ষপথ বলে।
প্রশ্ন-৯। পারমাণবিক ভর ধারণার প্রবর্তক কে?
উত্তরঃ পারমাণবিক ভর ধারণার প্রবর্তক জন ডাল্টন।
Rate this post

By Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.