বহিঃঅডিটরি মিটাসের শেষ প্রান্তে এবং মধ্যকর্ণের মুখে আড়াআড়িভাবে অবস্থিত ডিম্বাকার, স্থিতিস্থাপক পর্দাকে টিমপেনিক পর্দা বলে। এর বাইরের দিক অবতল, ভেতরের দিক উত্তল। এর সাথে মধ্যকর্ণের ম্যালিয়াস অস্থি যুক্ত থাকে। বহিঃকর্ণকে মধ্যকর্ণ থেকে পৃথক করে রাখা, শব্দতরঙ্গে কেঁপে উঠা এবং শব্দ তরঙ্গকে সমতলে মধ্যকর্ণে পরিবহন করা টিমপেনিক পর্দার কাজ।
বিভিন্ন প্রকার সিলোমেট এর নাম ও উদাহরণ।
সিলোমের উপস্থিতি, অনুপস্থিতি ও প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে প্রাণীদের তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা :
i. সিলোমবিহীন প্রাণী : এ ধরনের প্রাণীদের দেহে কোনো সিলোম থাকে না। যেমন : Fasciola hepatica.
ii. অপ্রকৃত সিলোমযুক্ত প্রাণী : এসব প্রাণীর দেহগহ্বর পেরিটোনিয়াম পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে না বরং দেহগহ্বরের চারপাশ পেশিস্তর দ্বারা ঘেরা থাকে। যেমন : Ascaris lumbricoides.
iii. প্রকৃত সিলোমযুক্ত প্রাণী : এসব প্রাণীর দেহ প্রকৃত দেহগহ্বর অর্থাৎ ভ্রূণীয় মেসোডার্ম উদ্ভূত পেরিটোনিয়াম পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে। যেমন : Homo sapiens.