যে দৈহিক বা শরীরবৃত্তিক আচরণগত বৈশিষ্ট্যাবলী কোনো জীবকে তার পরিবেশের অস্তিত্ব রক্ষায় ও বংশবিস্তারে আরও সুরক্ষিত করে তোলে তাকে অভিযোজন বলে।
বিবর্তন জিন মিউটেশন কিংবা দ্বৈবাৎ পরিবেশ পরিবর্তনে অভিযোজন সুস্পষ্ট দৃশ্যমান হয়। এসব বৈশিষ্ট্য বংশপরম্পরায় সঞ্চারিত হয় এবং অনেক প্রজন্ম শেষে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের অভিযোজন জীবগোষ্ঠীতে সঞ্চিত হয়ে সুস্পষ্ট হয়। এভাবে জীবসম্প্রদায়ে যে অভিযোজন ব্যবস্থা গড়ে উঠে তা থেকে জীব স্বাভাবিক জীবন-যাপনে সর্বোচ্চ সুবিধা আদায়ে এবং প্রতিকুল পরিবেশে খাপ খাওয়াতে সক্ষম হয়।
সহজাত আবেগ বা ইনসটিংক্টস বলতে কী বোঝায়?
সাগর পাড়ে সর্বোচ্চ জোয়ার থেকেও খানিকটা দূরে যে সামুদ্রিক কাছিম ডিম পেড়ে বালু দিয়ে ঢেকে রেখে যায় তা থেকে দুমাসের মাথায় ডিম ফুটে কাছিমের বাচ্চা ফুটে অন্য কোনো দিকে না গিয়ে সোজা সমুদ্রের পানিতে আশ্রয় নেয়। পৃথিবীর সব সামুদ্রিক কাছিমের বাচ্চাই এ কাজ করে। বাচ্চাটাকে কেউ যদি সমুদ্র বিমুখে ঘুরিয়ে দেয় তাহলে খানিকটা থমকে আবার ঘুরে সাগরপানে ছুটে যায়। সাগরপানে ছুটে যেতে কাছিমের বাচ্চাকে কেউ নির্দেশ দেয়নি, বরং এটি জিনগতভাবে স্থায়ী ও বংশগত আচরণ। জন্মগত যে শক্তির সাহায্যে একটি প্রজাতির সকল সদস্য কোনো শিক্ষণ ছাড়া এবং উদ্দেশ্য ও ফলাফল সম্বন্ধে অবহিত না থেকে আত্মরক্ষা ও প্রজাতিরক্ষায় বংশ পরম্পরায় একইভাবে কাজ করে থাকে সেটাই ইনসটিংক্ট।