সূর্যালোক ও প্রোটোপ্লাজম দিয়ে কিছুটা নিয়মিত যে প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ তার বায়বীয় অঙ্গ থেকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি বাষ্পাকারে বের করে দেয় তাকেই বাষ্পমোচন বলে। এ বাষ্পমোচনকে এক ধরনের প্রস্বেদন প্রক্রিয়া বলা হয়ে থাকে।

পত্ররন্ধ্র খোলা ও বন্ধ হওয়ার কৌশল বর্ণনা করো।
রক্ষীকোষদ্বয়ের স্ফীতি অথবা শিথিল অবস্থা পত্ররন্ধ্রের খোলা বা বন্ধ হতে সহায়তা করে। আমরা জানি, পত্ররন্ধ্রের রক্ষীকোষদ্বয়ের রন্ধ্র সংলগ্ন প্রাচীর বেশ পুরু কিন্তু বহির্ভাগের অর্থাৎ বহিঃত্বক কোষ সংলগ্ন প্রাচীর বেশ পাতলা হয়। পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কারণে রক্ষী কোষে অন্তঃঅভিস্রবণ ও বহিঃঅভিস্রবণ ঘটে।

রক্ষীকোষদ্বয় পার্শ্বস্থ বহিঃত্বক কোষ থেকে অন্তঃঅভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় পানি শোষণ করে স্ফীত হয়। স্ফীতি হওয়ার ফলে রক্ষীকোষের বাইরের পাতলা প্রাচীরের দিকে অতিরিক্ত চাপের টানে ভেতরের পুরু প্রাচীরটি কিছুটা বেঁকে যায় এবং রন্ধ্র খুলে যায়। অপরপক্ষে বহিঃঅভিস্রবণের ফলে রক্ষীকোষদ্বয় স্ফীতি হারিয়ে শিথিল হয়, ফলে রন্ধ্র বন্ধ হয়। কাজেই পত্ররন্ধ্রের খোলা ও বন্ধ হওয়া রক্ষীকোষদ্বয়ের গঠন ও স্ফীতির উপর নির্ভরশীল।

Rate this post

By Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.