জীববিজ্ঞানের যে শাখায় বংশগতির রীতিনীতি অর্থাৎ বংশানুক্রমিক গুণাবলি, উৎপাদিত প্রকৃতি, তাদের আচরণ সম্পর্কে আলোচিত হয়, সে শাখাকে জীনতত্ত্ব বা Genetics বলে।

Genetics শব্দটি সর্বপ্রথম উইলিয়াম বেটসন ১৯০৬ সালে প্রয়োগ করেন।

জীববিজ্ঞান (Biology) বিষয়ের আরও প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১। ব্লাস্টোডার্ম এবং ব্লাস্টোসিল কী?
উত্তরঃ ক্রমে একটি তরলপূর্ণ গহ্বর সৃষ্টি হয়। ভ্রূণের এ দশাকে ব্লাস্টোডার্ম বলে এবং ভিতরের তরলপূর্ণ গহ্বরকে ব্লাস্টোসিল বলে।

প্রশ্ন-২। লেবিয়া মেজোরা ও লেবিয়া মাইনোরা কী?
উত্তরঃ দুটি মাংসল ভাঁজ কপাটের মতো যোনিপথকে ঢেকে রাখে। এদের লেবিয়া মেজোরা ও লেবিয়া মাইনোরা বলে।

প্রশ্ন-৩। ক্লাইটোরিস বা ভগাঙ্কুর কী?
উত্তরঃ লেবিয়া মেজোরার উপরের দিকে একটি ছোট মাংসপিণ্ড থাকে, যাকে ক্লাইটোরিস বা ভগাঙ্কুর বলে। এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল।

প্রশ্ন-৪। রক্তরসের কাজ কী?
উত্তরঃ পরিপাকের পর খাদ্যসার রক্তরসে দ্রবীভূত হয়ে দেহের বিভিন্ন কলা ও অঙ্গে বাহিত হয়। টিস্যু থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে রেচনের জন্য বৃক্কে নিয়ে যায়। টিস্যুর অধিকাংশ কার্বন ডাইঅক্সাইড রক্তরসে বাইকার্বনেটরূপে দ্রবীভূত থাকে। অতি অল্প পরিমাণ অক্সিজেন এতে বাহিত হয়। লোহিত কণিকায় সংবদ্ধ হওয়ার আগে অক্সিজেন প্রথমে রক্তরসেই দ্রবীভূত হয়। হরমোন, এনজাইম, লিপিড প্রভৃতি বিভিন্ন অঙ্গে বহন করে। রক্তের অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা করে।

প্রশ্ন-৫। বদহজম কেন হয়? এর লক্ষণ কী কী?
উত্তরঃ গ্রহণকৃত খাদ্য দ্রব্য পরিপাক জনিত জটিলতার কারণে হজমে গোলমাল হলে বদহজম সমস্যা দেখা দেয়। পেটের উপরের দিকে ব্যথা, পেট ফাঁপা, বুক জ্বালা করা, বমি বমি ভাব, বুক ব্যথা, টক ঢেঁকুর উঠা ইত্যাদি বদহজমের লক্ষণ।

প্রশ্ন-৬। রুগী কাকে বলে?
উত্তরঃ যোনির প্রাচীরে কতকগুলো ভাঁজ দেখা যায় তাকে রুগী বলে।

প্রশ্ন-৭। ছোঁয়াচে রোগ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে রোগের সংস্পর্শে নিরোগ প্রাণী ও উদ্ভিদ রোগে আক্রান্ত হয় সে রোগকে ছোঁয়াচে রোগ বলে।

প্রশ্ন-৮। পলিজিন কাকে বলে?
উত্তরঃ দুই বা তারও বেশি জিন যখন জীবের কোনো একটি বৈশিষ্ট্যের বহিঃপ্রকাশ নিয়ন্ত্রণ করে তখন ঐ জিনগুলোকে পলিজিন বলে।

প্রশ্ন-৯। অটোসোম কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব ক্রোমোসোম জীবের দৈহিক বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটায় তাদের অটোসোম বলে। যেমন- মানুষের ২৩ জোড়া ক্রোমোসোমের মধ্যে ২২ জোড়াই অটোসোম। এদের A দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

প্রশ্ন-১০। গলদা ও বাগদা চিংড়ির মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ গলদা ও বাগদা চিংড়ির মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ–

গলদা
১. গলদা মিঠা পানির চিংড়ি।
২. গলদা চিংড়ির মাথা ও দেহ প্রায় সমান।
৩. পুরুষ গলদার ২য় জোড়া পা বেশ বড়।

বাগদা
১. বাগদা লোনা পানির চিংড়ি।
২. বাগদা চিংড়ির মাথা দেহের থেকে ছোট হয়।
৩. বাগদা চিংড়ির সব পা একই।

Rate this post

By Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.