সুর ও স্বর কাকে বলে? সুর ও স্বরের পার্থক্য কি?
সুর : একটিমাত্র কম্পাঙ্কবিশিষ্ট শব্দকে সুর বলে। কোন সুর শলাকা থেকে উৎপন্ন শব্দকে সুর বলা হয়।
স্বর : একাধিক কম্পাঙ্কবিশিষ্ট শব্দকে স্বর বলা হয়। বাদ্যযন্ত্র থেকে যে শব্দ নিঃসৃত হয় তা স্বর। অর্থাৎ স্বর হলো একাধিক সুরের সমষ্টি । যে কথা বলি তা হচ্ছে স্বর।
শব্দ স্বরের বৈশিষ্ট্য
শব্দ স্বরের তিনটি প্রধান বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যথা :
১. প্রাবল্য বা তীব্রতা
২. তীক্ষ্মতা
৩. গুণ বা জাতি।
১. প্রাবল্য : প্রাবল্য দ্বারা শব্দ কতটা জোরে হয় তা বুঝায়। প্রামাণ্য সংজ্ঞা হিসেবে বলা যায়, শব্দ বিস্তারের অভিমুখে লম্বভাবে রাখা একক ক্ষেত্রফলের মধ্য দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ শব্দ শক্তি প্রবাহিত হয় তাকে শব্দের প্রাবাল্য বা তীব্রতা বলে।
২. তীক্ষ্ণতা : এটি দ্বারা একই প্রাবল্যের খাদের সুর ও চড়া সুরের মধ্যে পার্থক্য বুঝা যায়।
৩. গুণ বা জাতি : এ বৈশিষ্ট্য দ্বারা বিভিন্ন উৎস হতে উৎপন্ন একই প্রাবল্য ও তীক্ষ্মতাযুক্ত শব্দের মধ্যে পার্থক্য বুঝা যায়।
সুর ও স্বরের পার্থক্য কি?
সুর ও স্বরের পার্থক্যগুলো নিম্নরূপ :
সুর
- একটিমাত্র কম্পাঙ্ক বিশিষ্ট শব্দকে সুর বলে।
- শব্দ সৃষ্টিকারী উৎসের সরল ছন্দিত স্পন্দনের জন্য সুর সৃষ্টি হয়।
- উদাহরণ : সুরশলাকার শব্দ।
স্বর
- একাধিক কম্পাঙ্ক বিশিষ্ট শব্দকে স্বর বলে।
- শব্দ সৃষ্টিকারী উৎসের পর্যায়বৃত্ত গতির জন্য স্বর সৃষ্টি হয়।
- উদাহরণ : বেহালা, ভায়োলিন, হারমোনিয়াম এর শব্দ।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “সুর ও স্বর কাকে বলে? সুর ও স্বরের পার্থক্য কি?” আর্টিকেল পছন্দ হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।