রক্ত সংযোজন (Blood Transfusion) কাকে বলে?

কেনো ব্যক্তির শিরার মধ্য দিয়ে বাইরে থেকে অন্যের রক্ত প্রবেশ করানোর প্রক্রিয়াকে বলে রক্ত সংযোজন। দুর্ঘটনাজনিত বা চিকিৎসাজনিত কারণে তাৎক্ষণিক রক্ত প্রয়োজন পড়লে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এটি একটি চমৎকার ফলপ্রদ ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে রোগীর প্রাণ রক্ষা করা যায়। তবে বস্তু সংযোজনের পূর্বে অবশ্যই রক্তের গ্রুপ ম্যাচ করিয়ে নিতে হবে।

জীববিজ্ঞান (Biology) বিষয়ের আরও প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১. কোলেস্টেরলের কাজ কি?
উত্তর : কোলেস্টেরলের কাজ–

  • T কোষপ্রাচীর তৈরি ও রক্ষায় কাজ করা। কোষের ভেদ্যতা নির্ণয় করে বিভিন্ন দ্রব্যাদি কোষে প্রবেশ নিশ্চিত করা।
  • মানবদেহের জনন হরমোন এনড্রোজেন ও ইস্ট্রোজেন তৈরিতে সাহায্য করা।
  • পিত্ত তৈরি করা।

প্রশ্ন-২. বাতজ্বর কাকে বলে?
উত্তর : স্ট্রেপটোকক্কাস অণুজীবের সংক্রমণে সৃষ্ট শ্বাসনালির প্রদাহ, ফুসকুড়িযুক্ত সংক্রামক জ্বর, টনসিলের প্রদাহ অথবা মধ্যকর্ণের সংক্রামর রোগ প্রভৃতি লক্ষণকে বাতজ্বর বলে। সাধারণত শিশু অবস্থায় ও রোগের আক্রমণ শুরু হয় এবং দেহের অনেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত হয়, বিশেষত হৃৎপিণ্ড।

প্রশ্ন-৩. থ্যালাসেমিয়া কেন হয়?
উত্তর : থ্যালাসেমিয়া রক্তের লোহিত রক্ত কণিকার অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগ। লোহিত রক্ত কণিকা দুই ধরনের প্রোটিন গ্লোবিউলিন এবং B – গ্লোবিউলিন দ্বারা গঠিত। লোহিত রক্ত কোষে এ দুটি প্রোটিনের জিন নষ্ট হলে লোহিত রক্ত কণিকাগুলো নষ্ট হয়। ফলে রোগী রক্তশূণ্যতায় ভোগে। সুতরাং লোহিত রক্ত কণিকায় প্রোটিনের জিন নষ্ট হবার কারণে থ্যালামেসিয়া রোগ হয়।

প্রশ্ন-৪. উচ্চ রক্তচাপকে কেন নীরব ঘাতক বলা হয়?
উত্তর : রক্তচাপের সিস্টোলিক মান ১২০ এর উপরে পৌছলে তাকে উচ্চ রক্তচাপ বলে। ওজন বেশি বেড়ে গেলে কিংবা খাদ্যে লবণ-চর্বিযুক্ত উপাদান বেশি খেলে, অথবা পরিবারে অন্য সদস্যদের পূর্বে থেকে থাকলে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে স্ট্রোকও করোনারি ধমনির রোগের মত মারাত্মক রোগ হয় এবং প্রতিবছর বহু মানুষ এসব কারণে মৃত্যুবরণ করে। এ কারণেই উচ্চ রক্তচাপকে নীরব ঘাতক বলা হয়।

প্রশ্ন-৫. রক্তশূন্যতা কী?
উত্তর : রক্তশূন্যতা হচ্ছে দেহের এমন একটা অবস্থা যখন বয়স ও লিঙ্গভেদে রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘনত্ব স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়। খাদ্যের মুখ্য উপাদান ভিটামিন বি-২ এর অভাব ঘটলে এ রোগ দেখা যায়। বাংলাদেশে সাধারণত লৌহঘটিত আমিষের অভাবে এই রোগ হয়। শিশুদের ও গর্ভধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন মহিলাদের এই রোগ বেশি হয়। রক্তশূন্যতা হলে বিভিন্ন লক্ষণ যেমন- দুর্বলতা অনুভব করা, মাথাব্যথা, মনমরা ভাব, অনিদ্রা, চোখে অন্ধকার দেখা, খাওয়ায় অরুচি, বুক ধড়ফড় ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়।

প্রশ্ন-৬. মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের লক্ষণগুলো কী?
উত্তর : মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের লক্ষণগুলো হলো- বমি হওয়া, প্রচন্ড মাথাব্যথা, কয়েক মিনিটের মধ্যে রোগীর জ্ঞান হারানো, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, মাংসপেশি শিথিল হয়ে যাওয়া, শ্বসন ও নাড়ির স্পন্দন কমে যাওয়া, মুখমন্ডল লাল বর্ণ ধারণ করা।

প্রশ্ন-৭. LDL কে খারাপ কোলেস্টরল বলা হয় কেন?
উত্তর : LDL হলো Low Density Lipoprotein। সাধারণত আমাদের রঙে ৭০% LDL থাকে। ব্যক্তি বিশেষে এর পরিমানে পার্থক্য দেখা যেতে পারে। LDL মানবদেহে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। একারণেই LDL কে খারাপ কোলেস্টরল বলা হয়।

প্রশ্ন-৮. মেনোপজ বলতে কী বুঝায়?
উত্তর : বয়ঃসন্ধিকাল থেকে মেয়েদের নির্দিষ্ট সময় পরপর রক্তস্রাব হয় যা মাসিক বা ঋতুস্রাব নামে পরিচিত। সাধারণত ৪০-৫০ বছর বয়স পর্যন্ত মহিলাদের ঋতুস্রাব চক্র চলার পর চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। একেই মেনোপজ বলা হয়। মূলত এর মাধ্যমে স্ত্রী দেহে গর্ভধারণ ক্ষমতা রহিত হয়।

প্রশ্ন-৯. হার্ট অ্যাটাক কীভাবে ঘটে?
উত্তর : যখন কারো হৃদন্ত্রের কোনো অংশ রক্ত জমাট বাঁধার কারণে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় কিংবা বাঁধাগ্রস্ত হয় তখন হৃৎপিন্ডের কোষ বা হৃদপেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলেই হার্ট অ্যাটাক ঘটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *