পালমোনারি ধমনী ও পালমোনারি শিরা কাকে বলে?

যেসব রক্তবাহিকার মাধ্যমে O2 সমৃদ্ধ রক্ত ফুসফুস থেকে হৃৎপিন্ডে বাহিত হয় তাকে পালামোনারী শিরা বলে। অপরদিকে, যেসব রক্তবহিকার মাধ্যমে CO2 সমৃদ্ধ রক্ত হৃৎপিন্ড থেকে ফুসফুসের বাহিত হয় তাকে পালমোনারী ধমনী বলে।

জীববিজ্ঞান (Biology) বিষয়ের আরও প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১. অ্যানিমিয়া কি?
উত্তর : অ্যানিমিয়া হচ্ছে দেহের রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘনত্ব স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যাওয়া। খাদ্যের মুখ্য উপাদান ভিটামিব বি, এর অভাব ঘটলে এ রোগ দেখা যায়। বাংলাদেশে সাধারণত লৌহঘটিত আমিষের অভাবে এ রোগ হয়। শিশুদের এবং গর্ভধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন মহিলাদের এই রোগ বেশি হয়।

প্রশ্ন-২. হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখার উপায় কি?
উত্তর : মানুষের জীবনে বাঁচা-মরার ক্ষেত্রে হৃদযন্ত্রের ভূমিকা অপরিসীম। তাই পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হবার আগ থেকে মানুষের হৃদযন্ত্র কাজ করা শুরু করে এবং মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত নির্দিষ্ট গতিতে চলতে থাকে। এ হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখার জন্য সঠিক জীবনধারা ও খাদ্য নির্বাচনের প্রয়োজন রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের তেল বা চর্বি জাতীয় খাদ্য হৃদযন্ত্রের কার্যক্রমকে ব্যাহত করে। এছাড়া মাদকদ্রব্য ও নেশাদ্রব্য সেবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বা হৃদস্পন্দন অনেক বৃদ্ধি পায়। এসব গ্রহণের ফলে মাদকসেবীরা সাময়িকভাবে মানসিক প্রশান্তি পেলেও তাদের হৃদযন্ত্রের প্রচুর ক্ষতি হয়। সিগারেট অথবা জর্দায় প্রচুর পরিমাণে নিকোটিন থাকে। এই নিকোটিনের বিষক্রিয় শরীরের অন্যান্য অংশের মত হৃদ-পেশিরও ক্ষতি করে। হৃৎপিণ্ডকে এসব ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে হলে মেদ সৃষ্টিকারী খাদ্য যেমন- তেল, অতিরিক্ত শর্করা পরিহার ও সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে, প্রতিদিন পরিমিত ব্যায়াম এবং হাঁটা-চলা করতে হবে। মোট কথা, সঠিক খাদ্য নির্বাচন এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখা যায়।

প্রশ্ন-৩. ধমনির কাজ কী?
উত্তর : ধমনি অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে সারাদেহে পৌঁছে দেয়। তবে ফুসফুসীয় ধমনি বিপরীতধর্মী। এটি হৃৎপিণ্ড থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইডযুক্ত রক্ত ফুসফুসে পৌঁছে দেয়।

প্রশ্ন-৪. রক্তের গ্রুপ কিভাবে নির্ণয় করা হয়?
উত্তর : রক্তের লোহিত রক্ত কণিকায় ‘A’ ও ‘B’ নামক দুই ধরনের এন্টিজেন থাকে। আবার রক্তরসে ‘a’ ও ‘b’ নামক দুই ধরনের এন্টিবডি থাকে। এই এন্টিজেন ও এন্টিবডির উপস্থিতি অনুপস্থিতির উপর ভিত্তি করেই রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়। কার্ল ল্যান্ডস্টেইনারের মতে রঙের গ্রুপ চারটি- A, B, AB এবং O।

প্রশ্ন-৫. মানবদেহে মূত্রের রং হলুদ হয় কেন?
উত্তর : মানবদেহের রেচন পদার্থসমূহ মূত্রের সাহায্যে শরীর হতে বের হয়ে আসে। মূত্রে এক ধরনের ইউরোক্রোম নামক রঞ্জক পদার্থ উপস্থিত থাকে। এই ইউরোক্রোমের কারণে মূত্রের রং হলুদ হয়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *