নিউটনের প্রথম সূত্রটা দিয়ে এটা বুঝা যাবে । প্রথম সূত্রটা হলো ” বাহ্যিক বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্ত স্থির থাকবে এবং গতিছিল বস্ত গতিছিল থাকবে ”
প্রথমে একটা কথা বলি মহাকর্ষ বল ক্রিয়া করলে কোনো বস্তু আকাশে ভেসে থাকবে না । মনে করুন , আপনি আকাশে উঠলেন পৃথিবী আপনাকে টানবে । যত উপরে উঠবেন ততো কম টানবে ।
কিন্তু পৃথিবী আপনাকে টানবেই হয়তো একটা সময় খুবই টানবে কিন্তু শূন্য হবে না । আপনি যখনি অসীম পরিমাণ দূরত্ব যাবেন তখন পৃথিবী আপনাকে আর আকর্ষণ করা পারবে না । এর ছাড়া পৃথিবী আপনাকে সব সময় আকর্ষণ করবে । স্যাটেলাইট আকাশে থাকলে তখন স্যাটেলাইটকে পৃথিবী নিজের দিকে টানে । তখন স্যাটেলাইট পৃথিবীর দিকে পড়ে যেতে চায় । তাই স্যাটেলাইটে একটি কেন্দ্রমুখী বলের যোগান দিতে হয় । কেন্দ্রমুখী বল এবং মহাকর্ষ বল সমান হলে পৃথিবী আর নিজের দিকে টেনে নিতে পারবে না ।
সব সময় বিপরীত দিকে যেতে থাকবে আর পৃথিবী নিজের দিকে টানবে যার ফলে স্যাটেলাইট কক্ষপথ থেকে ছিটকে যেতে পারবে না । এই হলো আকাশে স্যাটেলাইট ভেসে থাকে তার উত্তর।সংঘর্ষের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তার কারণ হচ্ছে প্রতিটা স্যাটেলাইটের উচ্চতা এবং কক্ষপথ আলাদা আলাদা ভাবে নিখুঁতভাবে স্থাপন করা আছে।