সুষম মন্দন কাকে বলে?

কোনো বস্তুর বেগ যদি নির্দিষ্ট দিকে সবসময় একই হারে কমতে থাকে তাহলে সেই মন্দনকে সুষম মন্দন বলে।

পদার্থবিজ্ঞান (Physics) বিষয়ের প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। বিদ্যুৎ কিভাবে উৎপন্ন করা যায়?
উত্তরঃ ইবোনাইট, প্লাস্টিক, রাবার, গাটাপর্চা, কাচ ইত্যাদিতে ফ্লানেল, সিল্ক, পশমযুক্ত বিড়ালের চামড়া ইত্যাদি দিয়ে ঘর্ষণ করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যায়।

প্রশ্ন-২। সরল ছন্দিত স্পন্দন গতি কি?
উত্তরঃ সরল ছন্দিত স্পন্দন গতি বিশেষ ধরনের পর্যাবৃত্ত গতি, যেখানে বস্তুর গতির অর্ধেক সময় একদিকে চলে, বাকি অর্ধেক সময় বিপরীত দিকে চলে। যেমন– সরল দোলকের গতি।

প্রশ্ন-৩। সরলরৈখিক গতি কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তন যদি একটি সরলরেখা বরাবর ঘটে তবে তার গতিকে সরলরৈখিক গতি বলে। যেমন– মুক্তভাবে পড়ন্ত বস্তুর গতি।

প্রশ্ন-৪। পরম স্থিতি কাকে বলে?
উত্তরঃ একটি বস্তু প্রকৃতপক্ষে স্থির থাকলে তার এ অবস্থাকে পরম স্থিতি বলে। মহাবিশ্বে পরম স্থিতি বলে কিছু নেই।

প্রশ্ন-৫। আপেক্ষিক স্থিতি কী?
উত্তরঃ একটি বস্তুর সাপেক্ষে কোনো বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তন না হলে সেটিই আপেক্ষিক স্থিতি।

প্রশ্ন-৬। বাষ্পীভবনের সুপ্ততাপ বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃ তরল পদার্থকে তাপ প্রয়োগ করতে থাকলে যখন তাপমাত্রা স্ফুটনাঙ্কে চলে আাসে তখন যতই তাপ প্রয়োগ করা হোক না কেন সম্পূর্ণ তরল বাষ্পে রূপান্তরিত হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা স্থির থাকে। এখানে যে পরিমাণ তাপ তরল পদার্থকে বাষ্পীয় অবস্থায় রূপান্তর করল তাই বাষ্পীভবনের সুপ্ততাপ।

প্রশ্ন-৭। স্থিতি কি?
উত্তরঃ সময়ের পরিবর্তনের সাথে পরিপার্শ্বের সাপেক্ষে যখন কোনো বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তন ঘটে না তখন ঐ বস্তুকে স্থিতিশীল বা স্থির বস্তু বলে। আর এই অবস্থান অপরিবর্তিত থাকাকে বলে স্থিতি।

প্রশ্ন-৮। তড়িৎ প্রবাহের সময় পরিবাহীতে রোধের সৃষ্টি হয় কেন?
উত্তরঃ ইলেকট্রন প্রবাহ দ্বারা তড়িৎ প্রবাহ তৈরি হয়। ইলেকট্রন নিম্ন বিভব থেকে উচ্চ বিভবের দিকে প্রবাহিত হয়। এই ইলেকট্রন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে চলার সময় পরিবাহীর অভ্যন্তরস্থ অণু-পরমাণুর সাথে সংঘর্ষ হয়। তখন তাদের গতি বাধা পায় এবং রোধের সৃষ্টি হয়। তাই তড়িৎ প্রবাহের সময় অণু-পরমাণুর সংঘর্ষের জন্য পরিবাহীতে রোধের সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন-৯। শক্তির সংরক্ষণশীলতা নীতিটি লিখ।
উত্তরঃ শক্তি অবিনশ্বর, এর সৃষ্টি বা বিনাশ নাই। এটি কেবল একরূপ হতে অন্য এক বা একাধিক রূপে পরিবর্তিত হতে পারে। রূপান্তরের আগে ও পরে মোট শক্তির পরিমাণ নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনীয়।

প্রশ্ন-১০। কীভাবে প্লাজমা উৎপাদন করা যায়?
উত্তরঃ নিম্নচাপে গ্যাসকে উত্তপ্ত করার পর যখন পরমাণুগুলোর গতিশক্তি বৃদ্ধি পায় তখন এদের মধ্যে প্রচণ্ড সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষের ফলে এরা পরস্পরকে আয়নিত করে। এর ফলে প্লাজমা গঠিত হয়। সাধারণত, কোনো গ্যাসকে 50,000°C তাপমাত্রার উপরে উত্তপ্ত করলে সকল ইলেকট্রন পরমাণু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে প্লাজমা গঠন করে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *