প্রতিবর্ত ক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।

স্নায়ুর ভেতর দিয়ে যে সংবাদ বা অনুভূতি প্রবাহিত হয় তাকে স্নায়ুতাড়না বলে। প্রতিবর্ত ক্রিয়া ঘটে স্নায়ুতাড়নার তাৎক্ষণিক কার্যকারিতার ফলে। হাতের ওপর মশা বসলে স্নায়ুর গ্রাহক প্রান্তের উদ্দীপক হলো মশা। এর উপস্থিতি অনুভব করার সঙ্গে সঙ্গে কোষ প্রান্তের সাড়া জাগে। আমরা মশাটিকে তাড়িয়ে দিই অথবা মেরে ফেলি। এ সকল ক্রিয়া যেন অজ্ঞাতসারে আপনা-আপনি হয়ে থাকে। এরূপ যে ক্রিয়া অনুভূতির উত্তেজনা দ্বারা উৎপন্ন হয় মস্তিষ্ক দ্বারা চালিত হয় না তাকেই প্রতিবর্ত ক্রিয়া (Reflex action) বলে।

প্রতিটি প্রতিবর্ত চক্রের পাঁচটি অংশ থাকে। যথা —১. গ্রাহক অঙ্গ, ২ . অনুভূতিবাহী স্নায়ু, ৩. প্রতিবর্ত কেন্দ্র, ৪. অজ্ঞাবাহী স্নায়ু এবং ৫. সাড়ার অঙ্গ। প্রতিবর্ত ক্রিয়া একটি সমন্বিত কার্যক্রম। এর এই পাঁচটি অংশের যে কোন একটির অভাবে কাজটি সঠিকভাবে হতে পারে না।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *