মহাবিশ্ব কাকে বলে? মহাবিশ্বের উৎপত্তি, মূল বস্তু ও ঘটনা।

মহাবিশ্ব কাকে বলে? (What is called Universe in Bengali/Bangla?)
পৃথিবী, গ্রহ, নক্ষত্র, গ্যালাক্সি, মহাকাশ এবং তাত্ত্বিকভাবে নির্ধারিত কিন্তু সরাসরি পর্যবেক্ষিত নয় এমন সব কিছু মিলে যে জগত তাকেই মহাবিশ্ব (Universe) বলে।

মহাবিশ্বের উৎপত্তি
স্টিফেন হকিং মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও বিকাশ সংক্রান্ত তত্ত্ব দেন যা বিগব্যাঙ তত্ত্ব বা মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব নামে পরিচিত। উক্ত তত্ত্ব অনুসারে, মহাবিশ্ব একসময় অত্যন্ত উত্তপ্ত ও ঘনরূপে বা ঘন অবস্থায় ছিল যা অতি দ্রুত প্রসারিত হচ্ছিল। দ্রুত প্রসারণের ফলে মহাবিশ্ব ঠাণ্ডা হয়ে যায় এবং বর্তমান প্রসারণশীল অবস্থায় পৌঁছায়। প্রায় ১৩.৭৫ বিলিয়ন বছর (১৩৭৫ কোটি) পূর্বে মহাবিস্ফোরণ হয়েছিল।

মহাবিশ্বের মূল বস্তু ও ঘটনা (Main Object and events of the Universe)
মহাবিশ্বের মূল বস্তু হচ্ছে গ্যালাক্সিসমূহ যা কিনা অসংখ্য জ্যোতিষ্কের সমাবেশ। এই সব গ্যালাক্সিতে আছে কোটি কোটি শ্বেত বামন নক্ষত্র, লক্ষ লক্ষ পালসার এবং হাজার হাজার কোয়াসার ও কৃষ্ণ বিবর। এই সকল মহাজাগতিক বস্তুর অত্যন্ত ক্ষুদ্র একটি অংশ জ্যোতিবিজ্ঞানের যন্ত্রপাতির সাহায্যে আবিষ্কৃত হয়েছে। গ্যালাক্সির চূড়ান্ত উপাদান হচ্ছে নক্ষত্র বা তারকা যা ঘনীভূত গ্যালাক্সি থেকে সৃষ্টি হয়ে গুচ্ছ গুচ্ছ আকারে মহাকাশে বিরাজ করছে।

একটি তারকার অভ্যন্তরে নিউক্লিয় ফিউশন হয় যার ফলে প্রচণ্ড শক্তি নির্গত হয় তাপ ও বিকিরণের আকারে। আলোক শক্তিসহ নানা রকম শক্তি বিকিরণের জন্য তারকাকে উজ্জ্বল দেখায়। যখন তারকার সকল নিউক্লিয় শক্তি নিঃশেষিত হয়ে যায় তখন এর নিজস্ব ওজনের চাপে একটি উচ্চ ঘনত্বের অবস্থায় ধ্বসে পড়ে- এর ভরের উপর নির্ভর করে একটি শ্বেত বামন বা পালসার অথবা কৃষ্ণ গহ্বরে রূপান্তরিত হয়। শ্বেত বামন যদি ঘন হয় তবে পালসার অতিঘন আর কৃষ্ণ গহ্বর হলো অস্বাভাবিক ঘন।

 

শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “মহাবিশ্ব কাকে বলে?” আর্টিকেল পছন্দ হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।

4.8/5 - (49 votes)

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.