চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ কাকে বলে? | চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ কেন হয়? | চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ কিভাবে হয়?

চন্দ্রগ্রহণ : পৃথিবী তার নিজ অক্ষের চারিদিকে আবর্তন করার পাশাপাশি সূর্যের চারিদিকেও নির্দিষ্ট কক্ষপথে আবর্তন করছে। এভাবে আবর্তন করতে করতে কোন এক পূর্ণিমা তিথিতে পৃথিবী সূর্য ও চন্দ্রের মাঝখানে এসে পৌঁছায়। ফলে পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ে এবং চাঁদকে দেখা যায় না। এ অবস্থাকে চন্দ্রগ্রহণ বলে।

সূর্যগ্রহণ : চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরতে ঘুরতে কোন এক অমাবস্যা তিথিতে সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে এসে পৌঁছায়। এমতাবস্থায় সূর্যের আলো চাঁদ দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং চাঁদের ছায়া পৃথিবীতে পড়ে। ফলে সূর্যকে দেখা যায় না। এ অবস্থাকে সূর্যগ্রহণ বলে।

চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ কেন হয়?

পৃথিবীর নিত্যসঙ্গী চাঁদ। একমাত্র উপগ্রহ। তবে চাঁদের নিজের কোনো আলো নেই। নেই পৃথিবীরও। আলো আসে সূর্য থেকে। পৃথিবী যখন সূর্য আর চাঁদের মাঝখানে থাকে, তখন চাঁদের ওপর পৃথিবীর ছায়া পড়ে। ফলে পুরোটা চাঁদ বা এর কিছু অংশ পৃথিবী থেকে আর দেখা যায় না। এটাই চন্দ্রগ্রহণ। আর চাঁদ যখন পৃথিবীর চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে সূর্য আর পৃথিবীর মাঝাখানে চলে আসে, তখন সূর্যের আলো আর পৃথিবীতে এসে পৌঁছাতে পারে না। এটাই সূর্যগ্রহণ। শুনে সহজ মনে হলেও বাস্তবে বিষয়টা এত সহজ নয়। এর মধ্যে কিছু ‘কিন্তু’ আছে। বিষয়টা ভালোভাবে বোঝা যাবে একটা উদাহরণের কথা ভাবলে।

ধরা যাক, আজ পূর্ণিমা। এর মানে হচ্ছে সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ মোটামুটি একটি সরলরেখায় আছে। আর চাঁদের পুরো অংশটাই সূর্যের আলো প্রতিফলিত করছে পৃথিবীর বুকে। চাঁদ ২৭.৫ দিনে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে। সে হিসাবে সাড়ে ২৭ দিন পরে আর একটি পূর্ণিমা হওয়ার কথা। কিন্তু সেটা হয় না। প্রশ্ন হলো, কেন? কারণ সেই সময়ে পৃথিবী তার কক্ষপথ ধরে এগিয়ে যায়। তাই সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদকে একটি সরলরেখায় আনতে আমাদের অপেক্ষা করতে হয় পুরো দুটো দিন। চাঁদ তার কক্ষপথে আরেকটু এগোতে, আর পৃথিবীর পেছনে সূর্যের সঙ্গে একটি সরলরেখায় চলে আসতে, অর্থাৎ একটি পূর্ণ চন্দ্রমাস হতে সময় লাগে ২৯.৫ দিন। তাহলে বিষয়টা আসলে কী দাড়াচ্ছে?

Similar Posts