কুমিল্লার তিতাসে বিশা পাগলা নামের ‘আধ্যাত্মিক’ পীরের ঘরের গোপন কক্ষ থেকে ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, ছয় ভরি সোনা ও ১ হাজার ১০০ দিরহাম উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ জুলাই) রাতে জেলার তিতাস উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার (১৩ জুলাই) উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের গাজীপুর মাজার এলাকা সংলগ্ন তার বাড়ির একিটি ঘরের আলমারি ভেঙে এ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস।
জানা যায়, ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের মো. আমির আলী ওরফে বিশা পাগলা নামের পীর-ফকির ছিলেন। তিনি গত শুক্রবার মৃত্যুবরণ করেন। এসময় তার দরবারে থাকা বড় বড় পাতিল নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ায় নিকটাত্মীয়রা। পরে ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধান করবেন বলে লাশ দাফন করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে বিশা পাগলার ঘর খুলে তার ঘরে থাকা আলমারিতে মোট ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা পাওয়া যায়। জীবিত থাকতে বিশা পাগলা একটি মসজিদ করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। উদ্ধার করা ওই টাকা তার নিকটাত্মীয়দের হস্তান্তর করা হয়েছে। তার নিকটাত্মীয়রা যৌথ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করে সেখানে রেখেছেন টাকাগুলো।
তার কোনো স্ত্রী-সন্তান না থাকায়, দুই ভাই জামাল হোসেন এবং কামাল হোসেন এবং তার এক বোনের মেয়ের নামে ওই যৌথ অ্যাকাউন্ট করা হয়েছে। তার স্বপ্নগুলো পূরণ করতে নিকটাত্মীয়দের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান নূর নবী। ধারণা করা হচ্ছে তার ভক্তদের দান এবং মানতের টাকা এগুলো।
বিশা পাগলার কথিত মেয়ে তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘বাবা বিভিন্ন মাজারে ঘুরত। বিভিন্ন মানুষজন তার কাছে আসত। টাকাপয়সা দিয়ে যেত। বাবা টাকাগুলো ঘরে রাখতেন। তবে এই টাকা দিয়ে কী করতে হবে তা বাবা কিছুই বলে যাননি।’
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস জানান, টাকাগুলো পাহারায় রাখা হয়েছে। এসব টাকা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে। তিতাস উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এটিএম মোর্শেদ জানান, আমরা এর আইনি দিকগুলো দেখছি। যাচাই-বাছাই শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।