পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক হচ্ছে এক ধরনের কম্পিউটার নেটওয়ার্ক। এ নেটওয়ার্কে প্রত্যেক ইউজার তাদের রিসাের্স অন্যের সাথে শেয়ার করতে পারে। এ প্রকার নেটওয়ার্কে প্রতিটি কম্পিউটার একইসাথে সার্ভার এবং ওয়ার্কস্টেশন। এখানে প্রতিটি মেশিন ডিসেন্ট্রালাইজ বা ছড়ানাে ছিটানাে থাকে। রিসাের্স শেয়ারিং এর ক্ষেত্রে সমান ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানে কোনাে ডেডিকেটেড সার্ভার থাকে না, ফলে এখানে কম্পিউটারগুলাের মধ্যে গুরুত্বের দিক দিয়ে কোনাে শ্রেণিবিন্যাসও নেই। প্রতিটি কম্পিউটার তার ডেটার নিরাপত্তা বিধানে নিজেই দায়ী থাকে। কম্পিউটার ব্যবহারকারী এক্ষেত্রে নির্ধারণ করে দেন তার কোনাে ফাইল বা ডেটা নেটওয়ার্কে অন্যান্যদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত থাকবে৷ পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্কের কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। সেগুলি হলাে-

  • ইউজাররা তাদের মেশিনের বিভিন্ন রিসাের্স, যেমন- ফাইল-ফোল্ডার, প্রিন্টার, সিডিরম ড্রাইভ ইত্যাদি শেয়ার করতে পারে।
  • এ ধরনের নেটওয়ার্ক ১০ জন বা তার কম ইউজারের জন্য সুবিধাজনক।
  • ফাইল বা রিসাের্স এক স্থানে সংরক্ষিত থাকে না।
  • এখানে প্রত্যেক ইউজার নিজ নিজ কম্পিউটার এডমিনিস্টার করে থাকেন, ডেডিকেটেড এডমিনিস্ট্রেটরের প্রয়ােজন হয় না।
  • এটি তৈরি করার জন্য বিশেষ কোনাে সফটওয়্যার বা অপারেটিং সিস্টেম দরকার নেই।
  • পুরাে নেটওয়ার্কের ইউজার ও সিকিউরিটি কেন্দ্রিয়ভাবে ম্যানেজ করা সম্ভব নয়।

পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্কের সুবিধাসমূহ

  • নেটওয়ার্ক কনফিগার করা সহজ।
  • সার্ভার হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যারও নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর না থাকায় খরচ কম।
  • ইউজাররা নিজ নিজ রিসাের্স ম্যানেজ করতে পারে ফলে নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বা অন্য কারাে উপর নির্ভর করতে হয় না।

পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্কের অসুবিধাসমূহ

  • ডেটা কেন্দ্রিয়ভাবে ম্যানেজ করা যায় না।
  • কোনাে শেয়ারড রিসাের্স একসাথে বেশি সংখ্যক ইউজার কানেক্ট করতে পারবে না।
  • পুরাে নেটওয়ার্কের ইউজার ও সিকিউরিটি কেন্দ্রিয়ভাবে ম্যানেজ করা যায় না।
Rate this post

By Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.