সাধারণভাবে জনসাধারণের মতমতকেই বলে জনমত। কিন্তু রাষ্ট্রবিজ্ঞানে জনমতকে বিশেষ অর্থে ব্যবহার করা হয়। সমাজের এক বা একাধিক বিষয়ে জনসাধারণের সুস্পষ্ট মতামতকে জনমত বলে। জনমত সম্পর্কে বিভিন্ন রাষ্ট্র দার্শনিক বিভিন্ন সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। অধ্যাপক লাওয়েল বলেন, ” জনমতের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতাই যথেষ্ট নয় অথবা একমত হওয়ারও প্রয়োজন নেই। যুক্তিভিত্তিক জ্ঞান, পূর্ণ ও কল্যাণকামী এবং সর্বোপরি জাতীয় মঙ্গলের জন্য গঠিত মতামতকেই জনমত বলে।”
সমাজের এক বা একাধিক বিষয়ে জনসাধারণের সুস্পষ্ট মতামতকে জনমত বলে। জনমত সম্পর্কে বিভিন্ন রাষ্ট্র দার্শনিক বিভিন্ন সংজ্ঞা প্রদান করেছেন।
অধ্যাপক লাওয়েল বলেন, “জনমতের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতাই যথেষ্ট নয় অথবা একমত হওয়ারও প্রয়োজন নেই। যুক্তিভিত্তিক জ্ঞান, পূর্ণ ও কল্যাণকামী এবং সর্বোপরি জাতীয় মঙ্গলের জন্য গঠিত মতামতকেই জনমত বলে।”
লর্ড ব্রাইস বলেন, “জনমত হচ্ছে সম্প্রদায়ের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জনগণের অভিতের সমষ্টি।”
জিনসবার্গের মতে, “জনমত হচ্ছে সমাজের বিভিন্ন মতের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ফল।”
মার্কিন মনস্তত্ত্ববিদ কিমবল ইয়ং বলেন, “কোন নির্দিষ্ট সময়ে জনগণ যে মতামত প্রকাশ করে তাই জনমত।”
কিন্তু জনমত বলতে জনসাধারণের সাধারণ মতামতকে বুঝায় না। কারণ প্রতিদিন জনগণ বিচ্ছিন্নভাবে হাজারো রকমের মতামত ব্যক্ত করে। এই সব মতামতের সবগুলো জনমত নয়। জনসাধারণের যে মতামত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণে প্রভাব বিস্তার করে তাই জনমত হিসেবে বিবেচিত হয়।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “জনমত কাকে বলে?” আর্টিকেল পছন্দ হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।