পড়াশোনা
1 min read

তৃতীয় অধ্যায় : ব্যাপন, অভিস্রবণ ও প্রস্বেদন অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান

প্রশ্ন-১. ব্যাপন অর্থ কি?
উত্তর : ব্যাপন অর্থ ছড়িয়ে যাওয়া।

প্রশ্ন-২. অসমোসিস অর্থ কি?
উত্তর : অসমোসিস অর্থ অভিস্রবণ।

প্রশ্ন-৩. কোনটি অভেদ্য পর্দা?
উত্তর : পলিথিন।

প্রশ্ন-৪. পেপারোমিয়া কীসের নাম?
উত্তর : গাছের।

প্রশ্ন-৫. কোনটি উদ্ভিদের জন্য একটি “Necessary evil”?
উত্তর : প্রস্বেদন।

প্রশ্ন-৬. কোনটি উদ্ভিদের অত্যাবশ্যক কাজ?
উত্তর : সালোকসংশ্লেষণ।

প্রশ্ন-৭. প্রস্বেদন কত প্রকার?
উত্তর : প্রস্বেদন তিন প্রকার।

প্রশ্ন-৮. পাতার আর্দ্রতা বজায় রাখে কোনটি?
উত্তর : প্রস্বেদন।

প্রশ্ন-৯. উদ্ভিদের দেহ অভ্যন্তর থেকে পাতার মাধ্যমে পানি নির্গমন প্রক্রিয়াকে কী বলে?
উত্তর : প্রস্বেদন।

প্রশ্ন-১০. কোনটি ভেদ্য পর্দা?
উত্তর : কোষপ্রাচীর।

প্রশ্ন-১১. কলয়েডধর্মী পদার্থ কোনটি?
উত্তর : জিলেটিন।

প্রশ্ন-১২. কোন পর্দা দিয়ে দ্রব ও দ্রাবক উভয়েই চলাচল করতে পারে?
উত্তর : কোষপ্রাচীর।

প্রশ্ন-১৩. উদ্ভিদ কোন প্রক্রিয়ায় মূলরোমের সাহায্যে মাটি হইতে পানি শোষণ করে?
উত্তর : অভিস্রবণ।

প্রশ্ন-১৪. প্রস্বেদন প্রধানত কোনটির মাধ্যমে হয়?
উত্তর : পত্ররন্ধ্র।

প্রশ্ন-১৫. কোন পর্দা দিয়ে শুধু দ্রাবক চলাচল করতে পারে?
উত্তর : কোষপর্দা।

প্রশ্ন-১৬. কোন প্রক্রিয়াটিকে প্রয়োজনীয় উপদ্রব বলা হয়?
উত্তর : প্রস্বেদন।

প্রশ্ন-১৭. শাপলা ফুল ফুটতে কোন প্রক্রিয়া সাহায্য করে?
উত্তর : অভিস্রবণ।

প্রশ্ন-১৮. অভিস্রবণ কোন পদার্থের ক্ষেত্রে ঘটে?
উত্তর : অভিস্রবণ কেবল মাত্র তরল পদার্থের ক্ষেত্রে ঘটে।

প্রশ্ন-১৯. মাছের পটকা কী ধরনের পর্দা?
উত্তর : মাছের পটকা অর্ধভেদ্য ধরনের পর্দা।

প্রশ্ন-২০. দ্রবণ কী?
উত্তর : দুই বা ততোধিক পদার্থের সমসত্ত্ব মিশ্রণকে দ্রবণ বলে।

প্রশ্ন-২১. কোন প্রক্রিয়ার ফলে শুকনো কিসমিস পানিতে ফুলে ওঠে?
উত্তর : অভিস্রবণ প্রক্রিয়ার ফলে শুকনো কিসমিস পানিতে ফুলে ওঠে।

প্রশ্ন-২২. প্রয়োজনীয় অমঙ্গল কাকে বলে?
উত্তর : প্রস্বেদনকে প্রয়োজনীয় অমঙ্গল বলে।

প্রশ্ন-২৩. কোষপ্রাচীর কোন ধরনের পর্দা?
উত্তর : কোষপ্রাচীর এক প্রকার ভেদ্য পর্দা।

প্রশ্ন-২৪. বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী পর্দাকে সাধারণত কয় ভাগে ভাগ করা হয়?
উত্তর : তিন ভাগে।

প্রশ্ন-২৫. ডিমের খোসার ভেতরের পর্দা কোন ধরনের পর্দা?
উত্তর : অর্ধভেদ্য পর্দা।

প্রশ্ন-২৬. ভেদ্য পর্দা কাকে বলে?
উত্তর : যে পর্দা দিয়ে দ্রাবক ও দ্রাব উভয়েরই অণু সহজে চলাচল করতে পারে তাকে ভেদ্য পর্দা বলে।

প্রশ্ন-২৭. ব্যাপন কাকে বলে?
উত্তর : একই তাপমাত্রা ও বায়ুমণ্ডলীয় চাপে কোনো পদার্থের অধিক ঘন স্থান থেকে কম ঘন স্থানে সমভাবে ছড়িয়ে পড়া বা বিস্তার লাভ করার প্রক্রিয়াকে ব্যাপন বলে।

প্রশ্ন-২৮. অভিস্রবণ কী?
উত্তর : একই দ্রব ও দ্রাবক বিশিষ্ট দুটি ভিন্ন ঘনত্বের দ্রবণ একটি অর্ধভেদ্য পর্দা দ্বারা পৃথক থাকলে যে ভৌত প্রক্রিয়ায় দ্রাবক কম ঘনত্বের দ্রবণ থেকে অধিক ঘনত্বের দ্রবণের দিকে ব্যাপিত হয় তাকে অভিস্রবণ বা অসমোসিস বলে।

প্রশ্ন-২৯. প্রস্বেদন কাকে বলে?
উত্তর : উদ্ভিদের দেহাভ্যন্তর থেকে পাতার মাধ্যমে বাষ্পাকারে পানির নির্গমনের প্রক্রিয়াকে প্রস্বেদন বা বাষ্পমোচন বলে।

প্রশ্ন-৩০. ফুলের সুবাস বাতাসে কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে?
উত্তর : ফুলের সুবাস ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।

প্রশ্ন-৩১. ব্যাপন চাপ কী?
উত্তর : ব্যাপনকারী পদার্থের অণু-পরমাণুগুলোর গতিশক্তির প্রভাবে যে চাপের সৃষ্টি হয় তাকে ব্যাপন চাপ বলে।

প্রশ্ন-৩২. ইমবাইবিশন কাকে বলে?
উত্তর : কলয়েডধর্মী বিভিন্ন পদার্থ (উদ্ভিদের ক্ষেত্রে কোষ প্রাচীর) যে প্রক্রিয়ায় নানা ধরনের তরল পদার্থ (উদ্ভিদের ক্ষেত্রে পানি) শোষণ করে তাকে ইমবাইবিশন বলে। বেশির ভাগ কলয়েডধর্মী পদার্থই পানিগ্রাহী। উদ্ভিদদেহে বিভিন্ন ধরনের কলয়েডধর্মী পদার্থ বিদ্যমান। যেমন স্টার্চ, সেলুলোজ, জিলেটিন ইত্যাদি।

প্রশ্ন-৩৩. কৈশিক পানি কি?
উত্তর : মাটির সূক্ষ্ম কণার ফাঁকে লেগে থাকা পানিই হলো কৈশিক পানি।

প্রশ্ন-৩৪. শোষণ কাকে বলে?
উত্তর : মাটি থেকে পানি ও পানিতে দ্রবীভূত খনিজ লবণ উদ্ভিদদেহের সজীব কোষে টেনে নেওয়ার পদ্ধতিকে শোষণ বলে।

প্রশ্ন-৩৫. উদ্ভিদ মাটি থেকে খনিজ লবণ কী হিসেবে শোষণ করে?
উত্তর : উদ্ভিদ মাটি থেকে খনিজ লবণ আয়ন হিসেবে শোষণ করে।

প্রশ্ন-৩৬. উদ্ভিদ মূলরোম দিয়ে মাটি থেকে কী শোষণ করে?
উত্তর : উদ্ভিদ মূলরোম দিয়ে মাটি থেকে পানি ও পানিতে দ্রবীভূত খনিজ লবণ শোষণ করে।

প্রশ্ন-৩৭. কোষ রস কী?
উত্তর : কোষস্থ পানি ও পানিতে দ্রবীভূত খনিজ লবই হচ্ছে কোষ রস।

প্রশ্ন-৩৮. অর্ধভেদ্য পর্দা কাকে বলে?
উত্তর : যে পর্দা দিয়ে কেবল দ্রবণের দ্রাবক অণু চলাচল করতে পারে কিন্তু দ্রাব অণু চলাচল করতে পারে না তাকে অর্ধভেদ্য পর্দা বলে।

প্রশ্ন-৩৯. পত্ররন্ধ্রীয় প্রস্বেদন কী বলতে বোঝায়?
উত্তর : পাতায়, কচি কাণ্ডে, ফুলের বৃতি ও পাপড়িতে দুটি রক্ষীকোষ বেষ্টিত এক ধরনের রন্ধ্র থাকে। তাদের পত্ররন্ধ্র বলে। উদ্ভিদে পত্ররন্ধ্রের সাহায্যে যে প্রস্বেদন হয় তাকে পত্ররন্ধ্রীয় প্রস্বেদন বলে।

প্রশ্ন-৪০. মাছের পটকাকে অর্ধভেদ্য পর্দা বলা হয় কেন?
উত্তর : যে পর্দা দিয়ে কেবল দ্রবণের দ্রাবক অণু চলাচল করতে পারে কিন্তু দ্রাব চলাচল করতে পারে না তাকে বলা হয় অর্ধভেদ্য পর্দা। মাছের পটকার কোষ পর্দা দিয়ে শুধু দ্রবণের দ্রাবক অণু চলাচল করতে পারে কিন্তু দ্রাব চলাচল করতে পারে না। তাই মাছের পটকাকে অর্ধভেদ্য পর্দা বলা হয়।

প্রশ্ন-৪১. শুকনো কাঠ পানিগ্রাহী কেন?
উত্তর : শুকনো কাঠ পানিগ্রাহী কারণ–
শুকনো কাঠে কলয়েডধর্মী পদার্থ যেমন স্টার্চ, সেলুলোজ, জিলেটিন ইত্যাদি বিদ্যমান। এসব পদার্থ তাদের কলয়েডধর্মী গুণের জন্য পানি শোষণ করতে সক্ষম। এজন্যই শুকনো কাঠ পানিগ্রাহী হয়ে থাকে।

প্রশ্ন-৪২. পলিথিনকে কেন অভেদ্য পর্দা বলা হয়?
উত্তর : যে পর্দা দিয়ে দ্রাবক ও দ্রাব উভয় প্রকার পদার্থের অণুগুলো চলাচল করতে পারে না তাকে অভেদ্য পর্দা বলে। যেহেতু পলিথিনের মধ্য দিয়ে দ্রাবক ও দ্রাব অণুর কোনোটিই প্রবেশ করতে পারে না। তাই পলিথিন একটি অভেদ্য পর্দা।

প্রশ্ন-৪৩. দ্রব্য ও দ্রাবক বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ দ্রাবকে যে পদার্থ দ্রবীভূত করে দ্রবণ প্রস্তুত করে তাকে বলা হয় দ্রব্য। আবার, দ্রবণে যে উপাদানটির পরিমাণ বেশি থাকে তাকে দ্রাবক বলে।

প্রশ্ন-৪৪. প্লাজমোলাইসিস বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ কখনো কখনো কোষের বাইরের পরিবেশের দ্রবণ কোষের প্রোটোপ্লাজমের দ্রবণের চেয়ে বেশি ঘন হলে দ্রাবক অণু বহিঅভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় কোষ থেকে বাইরে চলে আসে। কোষের প্রোটোপ্লাজম তখন পানি হারিয়ে সংকুচিত হয়ে যায়। প্রোটোপ্লাজমের এই সংকোচনকে প্লাজমোলাইসিস বলে।
একটি সজিব উদ্ভিদ কোষকে অতিসারক দ্রবণে রাখলে কোষের ভেতর থেকে বহিঃঅভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় বাইরে বেরিয়ে আসে। ফলে কোষের প্রোটোপ্লাজম সংকুচিত হয় এবং কোষ পর্দা ও কোষ প্রচীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আসে। কোষের এই অবস্থাকে প্লাজমোলাইসিস বলে।

প্রশ্ন-৪৫. উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য পানি ও খনিজ লবণ গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর : উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে পানি ও খনিজ লবণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পানি ও খনিজ লবণের দ্রবণ কাণ্ড ও শাখা-প্রশাখার মধ্য দিয়ে পাতায় পৌঁছায়। পাতা এগুলো ব্যবহার করে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরি করে, যা উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।

প্রশ্ন-৪৬. কাপড়ে দেওয়া নীল পানিতে ছড়িয়ে পড়ে কেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : কোনো পদার্থের অণুগুলোর অধিক ঘন স্থান থেকে কম ঘন স্থানে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা হচ্ছে ব্যাপন। পানিতে কাপড়ে দেওয়া নীল মেশালে তা ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পূর্ণ পানিতে ছড়িয়ে পড়ে। নীলের অণুগুলোর ঘনত্ব পানির অণুর ঘনত্ব থেকে বেশি হওয়ার কারণে এই ব্যাপন ঘটে এবং প্রক্রিয়া ততক্ষণ চলতে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না অণুগুলোর ঘনত্ব সমান হয়। এ ক্ষেত্রে ব্যাপন চাপ মুখ্য ভূমিকা পালন করে।

Rate this post