প্রাকৃতিক ক্লোন বুঝায় একটি জীব অথবা একদল জীব, যাদের উদ্ভব ঘটে অযৌন অঙ্গজ প্রজননের দ্বারা। এগুলোর প্রকৃতি হয় একদম মাতৃজীবের মতো। একটি কোষ বা একগুচ্ছ কোষ যখন একটি মাত্র কোষ থেকে উৎপত্তি হয় এবং সেগুলোর প্রকৃতি মাতৃকোষের মতো হয় তখন তাকেও ক্লোন বলে। প্রকৃতিতে ব্যাকটেরিয়া, অনেক শৈবাল, বেশির ভাগ প্রোটোজোয়া এবং ইস্ট ছত্রাক বংশবৃদ্ধি করে ক্লোনিং পদ্ধতি দ্বারা। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজনবোধে কোনো বিশেষ জিনের সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটিয়ে তার প্রতিলিপি তৈরি করা হয়। কখনো বা কোনো কোষকে বিশেষভাবে পালনের মাধ্যমে রেখে বিভাজন ঘটিয়েও এতে উৎপন্ন করা হয় এক গোষ্ঠী একই ধরনের কোষ। আবার কোনো অনুজীব উদ্ভিদ কিংবা প্রাণী অনুরূপ অনেক জীব উৎপাদন করাও ক্লোনিং নামে পরিচিত।
ক্লোনিং তিন ধরনের হয়। যথা-
১. জিন ক্লোনিং;
২. সেল ক্লোনিং;
৩. জীব ক্লোনিং।
১। জিন ক্লোনিং : একই জিনের অসংখ্য নকল তৈরি করাকে জিন ক্লোনিং বলে। জিন ক্লোনিং রিকম্বিনেন্ট DNA টেকনোলজি এর সাহায্যে ঘটানো হয়।
২। সেল ক্লোনিং : একই কোষের অসংখ্য হুবহু একই রকমের কোষ সৃষ্টি করাকে সেল ক্লোনিং বলে।
৩। জীব ক্লোনিং : একটি মাত্র জীব থেকে জিনগত হুবহু এক বা একাধিক জীব তৈরির পদ্ধতিকে জীব ক্লোনিং বলে।