পড়াশোনা
1 min read

রসায়ন প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-৮)

প্রশ্ন-১. গ্লিসারিন কি?
উত্তরঃ গ্লিসারিন এক প্রকার বর্ণহীন, গন্ধহীন, স্বচ্ছ, মিষ্টি স্বাদযুক্ত তরল পদার্থ। একে ট্রাইহাইড্রিক অ্যালকোহলও বলা হয়। চর্বিকে ক্ষার যোগে আর্দ্রবিশ্লেষিত করে ১৭৭৯ সালে বিজ্ঞানী শীলে গ্লিসারিন উৎপাদন করেন।

প্রশ্ন-২। লিপস্টিক তৈরিতে কী কী উপাদান প্রয়োজন হয়?
উত্তরঃ লিপস্টিক তৈরিতে গ্রিজ, রঞ্জক বা রং টিটানিয়াম অক্সাইড ও একটি দ্রাবক পদার্থের প্রয়োজন। বিভিন্ন রং এ প্রস্তুতকৃত লিপস্টিক ঠোঁটে ব্যবহৃত প্রসাধনী হিসেবে বহুল প্রচলিত।

প্রশ্ন-৩. MSDS কি? MSDS এর পূর্ণরূপ কি?
উত্তর : 
MSDS মূলত একটি তালিকা। এর পূর্ণরূপ হলো– Materials Safety Data Sheets, যাতে রাসায়নিক পরীক্ষায় ব্যবহিত ক্যামিকেলগুলোর নাম, তাদের সতর্ক ব্যবহার ও সম্ভাবনাময় ঝুঁকি সম্পর্কে তথ্যের উল্লেখ থাকে।

প্রশ্ন-৪. ক্লোরিন কয় হাতবিশিষ্ট মৌল?
উত্তর :
 এক হাত।

প্রশ্ন-৫. সালফারের অপর নাম কি?
উত্তর :
 গন্ধক।

প্রশ্ন-৬. হিলিয়াম নিষ্ক্রিয় গ্যাস কেন?

উত্তরঃ যে সব মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ শক্তিস্তরে অষ্টক পূর্ণ থাকে এবং রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয়, তাদেরকে নিষ্ক্রিয় গ্যাস বলা হয়।

হিলিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাসঃ He(2) —-> 1s²

এর ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে দেখা যায় 1s-অরবিটালে মাত্র দুটি ইলেকট্রন বিদ্যমান থাকে। যা অষ্টক পূর্ণ নয়। তা সত্বেও হিলিয়াম একটি নিষ্ক্রিয় গ্যাস। কারণ হিলিয়ামের প্রথম শক্তিস্তরে 1s-অরবিটাল ইলেকট্রন দ্বারা পূর্ণ থাকে এবং প্রথম শক্তিস্তরে অন্য কোন অরবিটাল সম্ভব নয়।

একারণে হিলিয়ামের 1s² ইলেকট্রন বিন্যাস স্থিতিশীল ইলেকট্রন বিন্যাস।

এজন্য এটি কোন ইলেকট্রন আদান-প্রদান করে না বা রাসায়নিকভাবে কোন বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেনা।

তাই, হিলিয়াম একটি নিষ্ক্রিয় গ্যাস।

প্রশ্ন-৭। ওয়াটার গ্যাস কাকে বলে?

উত্তরঃ মিথেন ও স্টিমের মিশ্রণকে 450°C তাপমাত্রায় উত্তপ্ত নিকেল প্রভাবকের ওপর দিয়ে চালনা করলে কার্বন মনোক্সাইড ও হাইড্রোজেন গ্যাসের (CO + 3H2) মিশ্রণ উৎপন্ন হয়। একে ওয়াটার গ্যাস বলে।

প্রশ্ন-৮. আয়নিকরণ শক্তি কাকে বলে?
উত্তর :
 গ্যাসীয় অবস্থায় কোন মৌলের এক মোল পরমাণু থেকে এক মোল ইলেকট্রন বের করে আনতে যে পরিমাণ শক্তির যোগান দিতে হয়, সেই শক্তিকে ঐ মৌলের আয়নিকরণ শক্তি বলে।

প্রশ্ন-৯. পিভিস (PVC) কি?
উত্তর :
 PVC অত্যন্ত শক্ত প্লাস্টিক পদার্থ। এটি ভিনাইল ক্লোরাইড বা ক্লোরোইথিনের পলিমারকরণের উৎপন্ন হয়।

প্রশ্ন-১০. কুইক লাইম কিভাবে উৎপন্ন হয়?
উত্তর :
 চুনাপাথরকে উচ্চ তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে কুইক লাইম বা ক্যালসিয়াম অক্সাইড (CaO) উৎপন্ন হয়।

প্রশ্ন-১১. আউফবাউ নীতি কী?
উত্তর :
 পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাসের সময় ইলেকট্রনগুলো নিম্ন শক্তিস্তর সম্পন্ন অরবিটাল থেকে ক্রমান্বয়ে উচ্চ শক্তিস্তর সম্পন্ন অরবিটালে প্রবেশ করে। এটিই আউফবাউ নীতি।

প্রশ্ন-১২. অরবিটাল কাকে বলে?
উত্তর :
 নিউক্লিয়াসের চতুর্দিকে যে ত্রিমাত্রিক স্থানে ইলেকট্রন ঘনত্ব সর্বোচ্চ থাকে তাকে অরবিটাল বলে। অরবিটালকে s, p, d, f দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।

প্রশ্ন-১৩. যােজ্যতা কি?
উত্তর :
 কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ কক্ষপথে যত সংখ্যক ইলেকট্রন থাকে অথবা যত সংখ্যক বিজোড় ইলেকট্রন থাকে তাকে মৌলের যােজনী বা যােজ্যতা বলে।

প্রশ্ন-১৪. নিউল্যান্ডের অষ্টক সূত্র কি?
উত্তর :
 মৌলসমূহকে তাদের পারমাণবিক ভরের ক্রম অনুসারে সাজালে দেখা যায় যে, কোন নির্দিষ্ট মৌলের সঙ্গে তার পরের অষ্টম মৌলের ধর্মের পুনরাবৃত্তি হয়।

প্রশ্ন-১৫. শক্তিস্তর কাকে বলে?
উত্তর :
 কোন পরমাণুর নিউক্লিয়াসের বাহিরে ইলেকট্রনগুলো যে নির্দিষ্ট কক্ষপথে অবস্থান করে, সেই কক্ষপথগুলোকে ঐ পরমাণুর শক্তিস্তর বলে।

প্রশ্ন-১৬. পরিবর্তনশীল যোজনী কাকে বলে?
উত্তর : 
রাসায়নিক অবস্থাভেদে যে মৌল অপর মৌলের সাথে ভিন্ন ভিন্ন যোজনী সহকারে একাধিক যৌগ গঠন করে, ঐ সংশ্লিষ্ট মৌলের এরূপ যোজনীকে এর পরিবর্তনশীল যোজনী বা বিষয় যোজনী বলে।

প্রশ্ন-১৭. ন্যানো পার্টিক্যাল কি?
উত্তর :
 ন্যানো পার্টিক্যাল হলো 1.0 থেকে 100 nm আকারের কণা।

প্রশ্ন-১৮. মৌলের যোজনী কখন শূন্য হয়?
উত্তর : কোন মৌল যখন যৌগ গঠন না করে একক অবস্থায় থাকে তখন তার যোজনী শূন্য হয়। কারণ কোন মৌলের যৌগ গঠন করার ক্ষমতাই হলো ঐ মৌলের যোজনী।

প্রশ্ন-১৯. Si মৌলটি ধাতু না অধাতু?
উত্তর : 
যেসব মৌলে ধাতু ও অধাতু উভয় মৌলের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান তাদেরকে অপধাতু (Metalloid) বলে। Si মৌলটির ধাতব ও অধাতব উভয় বৈশিষ্ট্যই রয়েছে। পর্যায় সারণির যে কোনো পর্যায়ের মাঝামাঝিতে অর্থাৎ ধাতু ও অধাতুর মাঝে এদের অবস্থান।

প্রশ্ন-২০. রাসায়নিক বিক্রিয়া ও নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার পার্থক্য কি?
উত্তর :
 রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে বিক্রিয়ক পদার্থের পরমাণুসমূহের বাইরের কক্ষপথের ইলেকট্রন সজ্জার পরিবর্তন ঘটে। কোনো নতুন মৌলের উদ্ভব হয় না। কিন্তু নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ায় নিউক্লিয়ার আধানের পরিবর্তন হয়ে সম্পূর্ণ নতুন মৌলের উদ্ভব ঘটে। যেমন অ্যালুমিনিয়ামের মধ্যে আলফা কণা পরিচালনা করায় অ্যালুমিনিয়াম পরিবর্তিত হয়ে সিলিকনের নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়েছে।।

Rate this post