পদার্থবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-৯) Physics Questions and Answers

প্রশ্ন-১। চৌম্বক ক্ষেত্রের সবলতা কী কী উপায়ে বাড়ানো যায়?
উত্তরঃ চৌম্বক ক্ষেত্রের সবলতা বাড়ানো উপায় হলো–
(i) প্রবাহ বৃদ্ধি করে।
(ii) শক্তিশালী স্থির বা তড়িৎ চুম্বক ব্যবহার করে।
(iii) পাকের সংখ্যা বাড়িয়ে।
(iv) কুণ্ডলীর দৈর্ঘ্য ও বেগ বৃদ্ধি করে।

প্রশ্ন-২। তেজস্ক্রিয়তা একটি নিউক্লিয় ঘটনা ব্যাখ্যা কর
উত্তরঃ তেজস্ক্রিয়তা একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও অবিরাম ঘটনা এবং সম্পূর্ণভাবে প্রকৃতি নিয়ন্ত্রিত। মানবসৃষ্ট কোনো বাহ্যিক প্রভাব যেমন চাপ, তাপ, বিদ্যুৎ ও চৌম্বকক্ষেত্র এই রশ্মির নির্গমন বন্ধ করতে বা হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটাতে পারে না। সুতরাং, বলা যায় তেজস্ক্রিয়তা একটি নিউক্লিয় ঘটনা।

প্রশ্ন-৩। বস্তুর ভর ও ভার কাকে বলে? ভর ও ভারের মধ্যে সম্পর্ক কি?
উত্তরঃ কোনো বস্তুর মধ্যে যতটুকু পদার্থ আছে তাকেই বস্তুর ভর বলে। আর কোনো বস্তু যে পরিমাণ বল দ্বারা পৃথিবীর দিকে আকৃষ্ট হয় তাকে ঐ বস্তুর ভার বা ওজন বলে। বস্তুর ভার = ভর × অভিকর্ষজ ত্বরণ।

প্রশ্ন-৪। অনুকল্প কি?
উত্তরঃ অনুকল্প হলো এমন ব্যাখ্যা বা সূত্র বা তত্ত্ব যা এখনো সঠিকভাবে প্রমাণিত হয়নি।

প্রশ্ন-৫। ছন্দিত গতি কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো গতিশীল বস্তুকণার গতি যদি এমন হয় যে, এটি এর গতিপথের কোনো নির্দিষ্ট বিন্দুকে নির্দিষ্ট সময় পর পর একই দিক হতে অতিক্রম করে তবে সেই গতিকে ছন্দিত গতি বলে।

প্রশ্ন-৬। আলফা ও গামা রশ্মির মধ্যে দুটি পার্থক্য লিখ।
উত্তরঃ আলফা ও গামা রশ্মির মধ্যে দুটি পার্থক্য নিচে দেওয়া হলো–
(১) আলফা রশ্মি ধনাত্মক আধানযুক্ত। অপরদিকে, গামা রশ্মি আধান নিরপেক্ষ।
(২) আলফা রশ্মির ভেদন ক্ষমতা কম। অপরদিকে গামা রশ্মির ভেদন ক্ষমতা অনেক বেশি।

প্রশ্ন-৭। ক্রান্তি কোণ কাকে বলে?
উত্তরঃ নির্দিষ্ট রঙের আলোক রশ্মি ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে প্রতিসরিত হওয়ার সময় আপতন কোণের যে মানের জন্য প্রতিসরণ কোণের মান এক সমকোণ বা ৯০° হয়, অর্থাৎ প্রতিসরিত রশ্মি বিভেদতল ঘেঁষে চলে যায় তাকে ঐ রঙের জন্য হালকা মাধ্যমের সাপেক্ষে ঘন মাধ্যমের ক্রান্তি কোণ বলে।

প্রশ্ন-৮। পুনঃশিলীভবন কি?
উত্তরঃ চাপ প্রয়োগ করে কঠিন বস্তুকে তরলে অথবা চাপ হ্রাস করে আবার কঠিন অবস্থায় আনাকে পুনঃশিলীভবন বলে।

প্রশ্ন-৯। ভরবেগের সংরক্ষণ সূত্র কি?
উত্তরঃ ভরবেগের সংরক্ষণ সূত্রটি হচ্ছে– একাধিক বস্তুর মধ্যে শুধু ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া ছাড়া অন্য কোনো বল কাজ না করলে কোনো নির্দিষ্ট দিকে তাদের মোট ভরবেগের কোনো পরিবর্তন ঘটে না।

প্রশ্ন-১০। তীক্ষ্ণতা কাকে বলে?
উত্তরঃ সুরযুক্ত শব্দের যে বৈশিষ্ট্য দিয়ে একই প্রাবল্যের খাদের সুর এবং চড়া সুরের মধ্যে পার্থক্য বুঝা যায় তাকে তীক্ষ্ণতা বা পীচ বলে।

প্রশ্ন-১১। স্থিতিস্থাপক সীমা কাকে বলে?
উত্তরঃ বাইরে থেকে প্রযুক্ত বলের যে সর্বোচ্চ মান পর্যন্ত কোন বস্তু একটি স্থিতিস্থাপক বস্তুর ন্যায় আচরণ করে, সেই সর্বোচ্চ মানকে স্থিতিস্থাপক সীমা বলে।

প্রশ্ন-১২। গ্যাস প্রসারণে সমোষ্ণ প্রক্রিয়ায় কৃতকাজ সমচাপ প্রক্রিয়ায় কৃতকাজ অপেক্ষা বৃহত্তর ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ সমোষ্ণ প্রক্রিয়ায় তাপমাত্রা স্থির থাকে বলে সিস্টেমের অন্তঃস্থ শক্তির কোনো পরিবর্তন হয় না, অর্থাৎ ΔU = 0।
সুতরাং তাপগতিবিদ্যার প্রথম সূত্রানুসারে, ΔQ = ΔW
অর্থাৎ সমোষ্ণ প্রক্রিয়ায় সিস্টেমে সরবরাহকৃত তাপের সম্পূর্ণটাই কাজে রূপান্তরিত হয়।
অপরদিকে, সমচাপে প্রক্রিয়ায় সিস্টেমে সরবরাহকৃত তাপের সম্পূর্ণটাই কাজে রূপান্তরিত হয় না, এর কিছু অংশ সিস্টেমের অন্তঃস্থ শক্তি বৃদ্ধিতে ব্যয় হয়। এ কারণে গ্যাস প্রসারণের সমোষ্ণ প্রক্রিয়ায় কৃতকাজ সমচাপে প্রক্রিয়ায় কৃতকাজ অপেক্ষা বৃহত্তর হয়।

প্রশ্ন-১৩। ফার্মাটের নীতি বিবৃত করো।
উত্তরঃ ফার্মাটের নীতি হচ্ছে– আলোক রশ্মি এক বিন্দু হতে অপর এক বিন্দুতে যাওয়ার সময় সম্ভাব্য সকল পথের মধ্যে সেই পথ অনুসরণ করে যে পথে সময় সব থেকে কম লাগে।

প্রশ্ন-১৪। সূচন তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো ধাতু খণ্ডের ওপর সর্বোচ্চ যে তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের তড়িচ্চুম্বকীয় বিকিরণ আপতিত হলে ইলেকট্রন অবমুক্ত হয়, তাকে সূচন তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বলে।

প্রশ্ন-১৫। নিউক্লিয় বন্ধন শক্তি কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিউক্লিয়ন একত্রিত হয়ে একটি স্থায়ী নিউক্লিয়াস গঠন করতে যে পরিমাণ শক্তি নির্গত বা শোষিত হয় তাকে নিউক্লিয় বন্ধন শক্তি বলে।

প্রশ্ন-১৬। তারের প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন তারের প্রস্থ বরাবর দৈর্ঘ্যের সাথে লম্বভাবে ছেদ কাটলে যে তল পাওয়া যায় তার পরিমাণকে ঐ তারের প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল বলে। বৃত্তাকার প্রস্থচ্ছেদ বিশিষ্ট কোন তারের ব্যাসার্ধ r হলে, এর প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল হবে A = πr2

প্রশ্ন-১৭। কৃষ্ণমণ্ডল কাকে বলে?
উত্তরঃ শ্বেতমণ্ডলের ভিতরের গায়ে কালো রঙের একটি আস্তরণ থাকে যাকে কৃষ্ণমণ্ডল (Choroid) বলে। এই কালো আস্তরণের জন্য চোখের ভিতরে অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন হয় না।

প্রশ্ন-১৮। বক্রতার ব্যাসার্ধ কি?
উত্তরঃ গোলীয় দর্পণ যে গোলকের অংশ, সেই গোলকের ব্যাসার্ধকে ঐ দর্পণের বক্রতার ব্যাসার্ধ বলে। বক্রতার ব্যাসার্ধকে r দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

প্রশ্ন-১৯। মেলডি কাকে বলে?
উত্তরঃ যদি কতগুলো শব্দ একের পর এক উৎপন্ন হয়ে একটি সুরযুক্ত শব্দের সৃষ্টি করে তবে তাকে মেলডি বা স্বরমাধুর্য বলে।

প্রশ্ন-২০। পড়ন্ত বস্তুর তৃতীয় সূত্র কি?
উত্তরঃ পড়ন্ত বস্তুর তৃতীয় সূত্র : স্থির অবস্থান থেকে বিনা বাধায় পড়ন্ত বস্তু নির্দিষ্ট সময়ে যে দূরত্ব (h) অতিক্রম করে তা ঐ সময়ের (t) বর্গের সমানুপাতিক।
অর্থাৎ, h ∝ t2

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *