পড়াশোনা
1 min read

পদার্থবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-১৫)

প্রশ্ন-১। অভিকর্ষজ ত্বরণ কাকে বলে? অভিকর্ষজ ত্বরণের একক কি?
উত্তরঃ অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত কোনাে বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে অভিকর্ষজ ত্বরণ বলে।
অভিকর্ষজ ত্বরণকে ‘g’ দ্বারা প্রকাশ করা হয়। যেহেতু অভিকর্ষজ ত্বরণ এক প্রকার ত্বরণ, সুতরাং এর একক হচ্ছে মিটার-সেকেন্ড−2 (ms−2)।

প্রশ্ন-২। সব দোলক সরল দোলক নয়— ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ একটি ক্ষুদ্র ভারী বস্তুকে ওজনহীন পাকহীন অপ্রসারণশীল নমনীয় সুতার সাহায্যে কোনো দৃঢ় অবলম্বন হতে ঝুলিয়ে দিলে যদি তা বিনা বাধায় অল্প বিস্তারে (4°) এদিক ওদিক দুলতে পারে তবে তাকে সরল দোলক বলে। একটি দোলকে এ সকল শর্ত পুরণ হলেই সেটি সরল দোলক হবে, অন্যথায় যেমন: বিস্তার অনেক বড় হলে সেটি দোলক হলেও সরল দোলক হবে না।

প্রশ্ন-৩। চৌম্বক ক্ষেত্র কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন চুম্বকের চারিদিকে যতটুকু এলাকা পর্যন্ত ঐ চুম্বকের প্রভাব বিস্তৃত থাকে সে এলাকাকে ঐ চুম্বকের চৌম্বক ক্ষেত্র বলে।

প্রশ্ন-৪। অভিকর্ষীয় ত্বরণ কী?
উত্তরঃ অভিকর্ষ বলের প্রভাবে মুক্তভাবে পড়ন্ত বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে অভিকর্ষীয় ত্বরণ বলে।

প্রশ্ন-৫। আপেক্ষিক প্রবেশ্যতা কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো মাধ্যমের পরম প্রবেশ্যতা ও শূন্য মাধ্যমের পরম প্রবেশ্যতার অনুপাতকে আপেক্ষিক প্রবেশ্যতা বলে।

প্রশ্ন-৬। এক কিলোওয়াট ঘন্টা কাকে বলে?
উত্তরঃ এক কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন একটি যন্ত্র এক ঘন্টা কাজ করলে যে শক্তি ব্যয় হয় তাকে এক কিলোওয়াট ঘন্টা বলে।

প্রশ্ন-৭। ন্যানো পার্টিকেল কাকে বলে?
উত্তরঃ যে আণুবীক্ষণিক বস্তু কণার তিনটির মধ্যে অন্তত একটির (দুটি বা তিনটিও হতে পারে) আকার 1 থেকে 100 nm এর মধ্যে থাকে তাকে ন্যানো পার্টিকেল বলে।

প্রশ্ন-৮। আপেক্ষিক তাপ কাকে বলে?
উত্তরঃ একক ভরের কোনো পদার্থের তাপমাত্রা এক ডিগ্রি বৃদ্ধি করতে যতটুকু তাপের প্রয়োজন হয় তাকে ঐ পদার্থের আপেক্ষিক তাপ বলে।

প্রশ্ন-৯। পানিসম কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো বস্তুর তাপমাত্রা এক ডিগ্রি বৃদ্ধি করতে যে পরিমাণ তাপের প্রয়োজন হয়, সেই তাপ দ্বারা যতটুকু পানির তাপমাত্রা এক ডিগ্রি বৃদ্ধি করা যায় তাকে ঐ বস্তুর পানিসম বলে।

প্রশ্ন-১০। নিউটনের শীতলীকরণ সূত্র কী?
উত্তরঃ নিউটনের শীতলীকরণ সূত্র হচ্ছে– কোনো বস্তুর তাপ হারানোর হার, বস্তু ও তার চারপাশের তাপমাত্রার পার্থক্যের সমানুপাতিক।

প্রশ্ন-১১। গ্যালভানোমিটার কাকে বলে?
উত্তরঃ যে যন্ত্রের সাহায্যে কোনো বর্তনীতে তড়িৎ প্রবাহের অস্তিত্ব ও এর মান নির্ণয় করা হয় তাকে গ্যালভানোমিটার বলে।

প্রশ্ন-১২। মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে পদার্থকে ভাঙলে ঐ পদার্থ ছাড়া অন্য কোনো পদার্থ পাওয়া যায় না তাকে মৌলিক পদার্থ বলে। মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশের নাম পরমাণু। অপরদিকে, যে পদার্থকে ভাঙলে একের অধিক মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায় তাকে যৌগিক পদার্থ বলে। যৌগিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশের নাম অণু।

প্রশ্ন-১৩। বিম্ব বা প্রতিবিম্ব কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ কোনো বিন্দু থেকে নিঃসৃত আলোক রশ্মিগুচ্ছ প্রতিফলিত বা প্রতিসরিত হয়ে যদি দ্বিতীয় কোনো বিন্দুতে মিলিত হয় বা দ্বিতীয় কোনো বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়, তাহলে ঐ দ্বিতীয় বিন্দুকে প্রথম বিন্দুর বিম্ব বা প্রতিবিম্ব বলে। প্রতিবিম্ব দুই প্রকার। যথা: ১. বাস্তব প্রতিবিম্ব ও ২. অবাস্তব প্রতিবিম্ব।

প্রশ্ন-১৪। কম্পটন প্রভাব কাকে বলে?
উত্তরঃ একবর্ণী এক্স রশ্মির বিক্ষেপনের ফলে বিক্ষিপ্ত বিকিরণের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অথবা কম্পাংকের পরিবর্তন ঘটে। এই ঘটনা বা ক্রিয়াকে কম্পটন প্রভাব বা কম্পটন ক্রিয়া বলে।

প্রশ্ন-১৫। অপটিক্যাল টেলিস্কোপ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে টেলিস্কোপের সাহায্যে দৃশ্যমান আলোর সহায়তায় দৃশ্যমান আলো নিঃসরণকারী বা প্রতিফলনকারী বস্তু পর্যবেক্ষণ করা হয় তাকে অপটিক্যাল টেলিস্কোপ বলে।

প্রশ্ন-১৬। অদিক রাশি কী?
উত্তরঃ অদিক রাশি হলো এমন রাশিসমূহ, যেগুলোকে প্রকাশ করার জন্য (সদিক রাশির মতো) এদের নির্দিষ্ট দিক উল্লেখের প্রয়োজন হয় না।

প্রশ্ন-১৭। প্রধান ফোকাস কাকে বলে?
উত্তরঃ দর্পণের প্রধান অক্ষের সমান্তরাল ও নিকটবর্তী আলোক রশ্মিগুচ্ছ প্রতিফলনের পর যদি প্রধান অক্ষের ওপর কোনো বিন্দুতে মিলিত হয় অথবা প্রধান অক্ষের ওপরের কোনো বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়, তবে সেই বিন্দুকে দর্পণের প্রধান ফোকাস বলে।

প্রশ্ন-১৮। উত্তল লেন্সের প্রধান বা মুখ্য ফোকাস কাকে বলে?
উত্তরঃ লেন্সের অক্ষের সমান্তরাল একগুচ্ছ আলোর রশ্মি লেন্সের মধ্য দিয়ে প্রতিসরণের পর অক্ষের উপর যে বিন্দুতে মিলিত হয় তাকে উত্তল লেন্সের প্রধান বা মুখ্য ফোকাস বলে।

প্রশ্ন-১৯। নিষিদ্ধ শক্তি ব্যান্ড কাকে বলে?
উত্তরঃ পরিবহন ব্যান্ড ও যোজন ব্যান্ডের মধ্যবর্তী যে শক্তি ব্যবধান তাকে নিষিদ্ধ শক্তি ব্যান্ড বলে।

প্রশ্ন-২০। এক্সরের ব্যবহার লিখ।
উত্তরঃ এক্সরের ব্যবহার নিম্নরূপঃ
১. স্থানচ্যুত হাড়, হাড়ের ফাটল, ভেঙ্গে যাওয়া হাড় ইত্যাদি এক্সরের সাহায্যে খুব সহজে শনাক্ত করা যায়।
২. মুখমণ্ডলের যেকোনো ধরনের রোগ নির্ণয় এক্সরের ব্যবহার অনেক। যেমন- দাঁতের গোড়ায় ঘা এবং ক্ষয় নির্ণয়ে এক্স-রে ব্যবহার করা হয়।
৩. পেটের এক্সরের সাহায্যে অন্ত্রের প্রতিবন্ধকতা শনাক্ত করা যায়।
৪. x-ray এর সাহায্যে পিত্তথলি ও কিডনির পাথর শনাক্ত করা যায়।

Rate this post