পড়াশোনা
1 min read

রসায়ন প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-১৯)

প্রশ্ন-১। শহরের বায়ুতে কার্বন ডাই-অক্সাইড বেশি থাকে কেন?
উত্তরঃ শহরের বায়ুতে কার্বন ডাই-অক্সাইড বেশি থাকার কারণ–
১. শহরে জনবসতি ঘন।
২. গাছপালা কম থাকে।
৩. যানবাহন ও কলকারখানায় জ্বালানি পুড়ে অধিক কার্বন ডাই-অক্সাইড তৈরি করে।

প্রশ্ন-২। ইমালশন কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ ইমালশন দুই প্রকার। যথা:- (ক) পানিতে তেল ইমালশন এবং (খ) তেলে পানি ইমালশন।

প্রশ্ন-৩। ইমালসিফায়ার বা অবদ্রবকারক কাকে বলে?
উত্তরঃ ইমালশনকে স্থায়ী করা খুব কঠিন কাজ। সমধর্মের অণুগুলি জোড় বেঁধে ইমালশন থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। যা ইমালশনকে স্থায়িত্ব প্রদান করে তাকে ইমালসিফায়ার বা অবদ্রবকারক বলে। যেমন: লেসিথিন, সোডিয়াম ফসফেট, সোডিয়াম স্টেরয়েল ল্যাক্টাইলেট, পলিগ্লিসারিল ওলিয়েট ইত্যাদি।

প্রশ্ন-৪। মৌলিক গ্যাস কি?
উত্তরঃ নিস্ক্রিয় গ্যাস ছাড়া অন্যান্য দ্বি-পরমাণুক গ্যাসগুলোকে মৌলিক গ্যাস বলা হয়। যেমন : অক্সিজেন (O2), নাইট্রোজেন (N2), ক্লোরিন (Cl2), ফ্লোরিন (F2), হাইড্রোজেন (H2)।

প্রশ্ন-৫। স্লেকেড লাইম কি?
উত্তরঃ স্লেকেড লাইম হল ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড। এটি একটি অজৈব রাসায়নিক যৌগ, যার সংকেত Ca(OH)2। একে কলিচুন বলে।

প্রশ্ন-৬। ইমালশন বা অবদ্রব কাকে বলে?
উত্তরঃ যখন দুটি তরল, একটি ধ্রুবীয় অপরটি অধ্রুবীয়, যদি পরষ্পর মিশে গিয়ে কলয়েড তৈরী করে তখন তাকে ইমালশন বলে। যেমন, দুধ, মাখন, মেয়োনিজ, মার্জারিন প্রভৃতি। বাংলায় এর নাম অবদ্রব।

প্রশ্ন-৭। পারমাণবিক ভর বা ওজন কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার যোগফলকে পারমাণবিক ভর বা ওজন বলে। পারমাণবিক ভর বা ওজন = প্রোটন সংখ্যা + নিউট্রন সংখ্যা।

প্রশ্ন-৮। ক্রিস্টালাইন কি? ক্রিস্টালাইন এর উদাহরণ
উত্তরঃ যেসব সমসত্ত্ব কঠিন পদার্থের সমতল পিঠ আছে, সুনির্দিষ্ট ও সুষম জ্যামিতিক আকার আছে, সমতল পিঠগুলো সব সময় নির্দিষ্ট কোণে পরস্পরকে যুক্ত করে তাদেরকে ক্রিস্টালাইন বা স্ফটিক বলা হয়। যেমন– তুঁতে (CuSO4.5H2O)।

প্রশ্ন-৯। বিজারণ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো পরমাণু বা আয়ন এক বা একাধিক ইলেকট্রন গ্রহণ করে এবং এর ফলে সংশ্লিষ্ট পরমাণু বা আয়নের ঋণাত্মক চার্জ বৃদ্ধি বা ধনাত্মক চার্জ হ্রাস পায়, তাকে বিজারণ বলে।

প্রশ্ন-১০। স্বর্ণকে দীর্ঘদিন মাটির নিচে পুঁতে রাখলেও কোনোরূপ পরিবর্তন হয় না কেন?
উত্তরঃ স্বর্ণকে দীর্ঘদিন মাটির নিচে রাখলে কোনোরূপ পরিবর্তন হয় না। কারণ, স্বর্ণ (Au) ধাতুর সক্রিয়তা সিরিজের সবচেয়ে নিচের ধাতু। এর সক্রিয়তা একেবারেই নেই বললেই চলে। ফলে এটি পরিবেশের কোনো উপাদান দ্বারা আক্রান্ত হয় না। ফলে স্বর্ণের কোনোরূপ পরিবর্তনও ঘটে না।

প্রশ্ন-১১। রেডক্স বিক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তরঃ যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ভিন্ন বস্তুর পরমাণু বা মূলক বা আয়নের মধ্যে ইলেকট্রন আদান-প্রদানের মাধ্যমে জারণ ও বিজারণ প্রক্রিয়া একই সাথে সম্পন্ন হয় তাকে রেডক্স বিক্রিয়া বলে।

প্রশ্ন-১২। আদর্শ গ্যাসকে তরলে পরিণত করা যায় না কেন?
উত্তরঃ আদর্শ গ্যাসকে তরলে পরিণত করা যায় না। কারণ আদর্শ গ্যাসের কণাগুলোর মধ্যে কোনো পারস্পরিক আকর্ষণ বল কাজ করে না।

প্রশ্ন-১৩। বার্জিয়াস প্রক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তরঃ উত্তরঃ কয়লাকে হাইড্রোজেনেশনের মাধ্যমে তরল জ্বালানিতে রূপান্তরের প্রত্যক্ষ প্রক্রিয়াকে বার্জিয়াস প্রক্রিয়া বলে।

প্রশ্ন-১৪। ক্রোমোফোর কাকে বলে?
উত্তরঃ জৈব যৌগের অণুস্থিত যেসব π-বন্ধন যুক্ত মূলক দৃশ্যমান আলোর পরিসরের শক্তি-তরঙ্গ শোষণ করে এবং যৌগকে বর্ণযুক্ত দেখায়, এদেরকে ক্রোমোফোর বলে।

প্রশ্ন-১৫। প্রশমন বিন্দু কি?
উত্তরঃ প্রশমন বিক্রিয়ার শেষ বিন্দুই হচ্ছে প্রশমন বিন্দু। নির্দেশক নিজ বর্ণ পরিবর্তনের মাধ্যমে বিক্রিয়ার প্রশমন বিন্দু নির্দেশ করে।

প্রশ্ন-১৬। একটি H2 গ্যাস ভর্তি বেলুনকে আকাশে উড়ালে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে আকারের বৃদ্ধি ঘটে কেন?

উত্তরঃ H2 গ্যাস ভর্তি বেলুনকে আকাশে উড়ালে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে বেলুনের আকারের বৃদ্ধি ঘটে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে যতো উপরের দিকে যাওয়া হয় ততোই বায়ু চাপ কমতে থাকে। বেলুনের উপর বাইরের চাপ যতোই কমতে থাকে ততোই বেলুনের আকার বৃদ্ধি পেতে থাকে।

প্রশ্ন-১৭। মোলার গ্যাস ধ্রুবক কাকে বলে?
উত্তরঃ 1 মোল পরিমাণ কোনো গ্যাসের তাপমাত্রা 1K বৃদ্ধি করলে যে পরিমাণ সম্প্রসারণজনিত কাজ সম্পাদিত হয় তাকে মোলার গ্যাস ধ্রুবক বলে। একে R দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

প্রশ্ন-১৮। দ্রাবক নিষ্কাশন কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো জৈব যৌগকে তার জলীয় দ্রবণ বা অন্য কোনো মিশ্রণ হতে একটি উপযুক্ত জৈব দ্রাবকে দ্রবীভূত করে আলাদা করার পদ্ধতিকে দ্রাবক নিষ্কাশন বলে।

প্রশ্ন-১৯। সাম্যধ্রুবক কাকে বলে?
উত্তরঃ স্থির তাপমাত্রায় ও স্থির চাপে একটি উভমুখী বিক্রিয়ায় উৎপন্ন পদার্থসমূহের সক্রিয় ভরের গুণফল এবং বিক্রিয়কসমূহের সক্রিয়ভরের গুণফলের অনুপাতকে সাম্যধ্রুবক বা সাম্যাংক বলে।

প্রশ্ন-২০। ল্যাভয়সিয়ে সূত্র কি?
উত্তরঃ ল্যাভয়সিয়ে সূত্রটি হলো– ‘কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় যে পরিমাণ এনথালপির পরিবর্তন ঘটে ঐ বিক্রিয়াটি বিপরীত দিকে সংঘটিত হলেও ঐ একই পরিমাণ এনথালপির পরিবর্তন ঘটে, তবে চিহ্ন বিপরীত হয়’।

Rate this post