তৃতীয় অধ্যায় : মৌলের পর্যায়বৃত্ত ধর্ম ও রাসায়নিক বন্ধন, রসায়ন ১ম পত্র

মৌলের পর্যায়বৃত্ত ধর্ম ও রাসায়নিক বন্ধন (Periodic Properties and Chemical Bonding of Elements)

প্রশ্ন-১। পর্যায় সারণির কোন শ্রেণিতে ক্ষার ধাতুর অবস্থান রয়েছে?

উত্তরঃ পর্যায় সারণির গ্রুপ IA তে ক্ষার ধাতুর অবস্থান রয়েছে।

প্রশ্ন-২। মুদ্রা ধাতু কাকে বলে?

উত্তরঃ মুদ্রা তৈরিতে ব্যবহৃত (Cu, Ag, Au) মৌলগুলোকে মুদ্রা ধাতু বলে।

প্রশ্ন-৩। অবস্থান্তর মৌল কাকে বলে?

উত্তরঃ পর্যায় সারণির d-ব্লক মৌলসমূহ যাদের সুস্থিত আয়নে d অরবিটাল ইলেকট্রন দ্বারা আংশিকভাবে পূর্ণ থাকে তাদেরকে অবস্থান্তর মৌল বলে।

প্রশ্ন-৪। হাইব্রিড অরবিটাল কাকে বলে?

উত্তরঃ সংকরায়নের মাধ্যমে উৎপন্ন অরবিটালকে হাইব্রিড অরবিটাল বলে।

প্রশ্ন-৫। পোলার যৌগ কাকে বলে?

উত্তরঃ দুটি বিপরীত আধানযুক্ত প্রান্তবিশিষ্ট যৌগকে পোলার যৌগ বলে।

প্রশ্ন-৬। হাইড্রোজেনের তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান কত?

উত্তরঃ হাইড্রোজেনের তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান হলো 2.2।

প্রশ্ন-৭। ক্ষার ধাতুসমূহ কোন ব্লকের মোল?

উত্তরঃ ক্ষার ধাতুগুলো হলো s-ব্লকের মোল।

প্রশ্ন-৮। মৃৎ-ক্ষারীয় ধাতু কাকে বললে?

উত্তরঃ পর্যায় সারণির গ্রুপ IIA এর মৌলসমূহকে মৃৎ-ক্ষারীয় ধাতু বলে।

প্রশ্ন-৯। ইলেকট্রন আসক্তির সাথে তড়িৎ ঋণাত্মকতার সম্পর্ক কী?

উত্তরঃ যে মৌলের ইলেকট্রন আসক্তি বেশি সেই মৌলের তড়িৎ ঋণাত্মকতার মানও বেশি।

প্রশ্ন-১০। sp সংকরণ কী?

উত্তরঃ কোনো পরমাণুর যোজ্যতা স্তরের একটি s অরবিটাল ও একটি p অরবিটালের মধ্যে সংকরণকে sp সংকরণ বলা হয়।

প্রশ্ন-১১। s-ব্লক মৌল কী?

উত্তরঃ যে সব মৌলের পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ ইলেকট্রনটি s অরবিটালে গমন করে তাদেরকে s-ব্লক মৌল বলে।

প্রশ্ন-১২। আয়নীকরণ শক্তি কী?

উত্তরঃ গ্যাসীয় অবস্থায় কোনো মৌলের সর্বশেষ শক্তিস্তর থেকে এক মোল ইলেকট্রন অপসারণ করে একে একক ধনাত্মক আয়নে পরিণত করতে যে পরিমাণ শক্তি প্রয়োজন হয় তাই সেই মৌলের আয়নীকরণ শক্তি।

প্রশ্ন-১৩। যোজ্যতা কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ কক্ষপথে যত সংখ্যক ইলেকট্রন থাকে অথবা যত সংখ্যক বেজোড় ইলেকট্রন থাকে তাকে মৌলের যোজনী বা যোজ্যতা বলে। যেমন, নাইট্রোজেন পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস হল 2, 5। অতএব নাইট্রোজেনের যোজ্যতা 5।

প্রশ্ন-১৪। অরবিটালের সংকরণ কাকে বলে?

উত্তরঃ বিক্রিয়াকালে কোনো পরমাণুর যোজ্যতা স্তরের বিভিন্ন অরবিটালসমূহ পরস্পরের সাথে মিশ্রিত হয়ে সমশক্তির অরবিটাল সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে অরবিটালের সংকরণ বা হাইব্রিডাইজেশন বলে।

প্রশ্ন-১৫। সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন কাকে বলে?

উত্তরঃ দুটি পরমাণুর মধ্যে বন্ধন গঠনকালে শেয়ারকৃত ইলেকট্রন যুগল যদি একটিমাত্র পরমাণু হতে আসে। কিন্তু উভয় পরমাণুই ঐ ইলেকট্রন যুগলকে সমভাবে শেয়ার করে তবে এদের মধ্যে উৎপন্ন বন্ধনকে সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন বলে।

প্রশ্ন-১৬। পোলারায়ন কাকে বলে?

উত্তরঃ দুটি বিপরীত আধানযুক্ত আয়ন অর্থাৎ ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন খুবই কাছাকাছি রাখলে ক্যাটায়ন (A+) এর কার্যকরী আধান অ্যানায়ন (B-) এর ইলেকট্রন মেঘকে আকর্ষণ করে। ফলে অ্যানায়নের ইলেকট্রন মেঘের বিকৃতি দেখা দেয় এবং ক্যাটায়নের দিকে আংশিক স্থানান্তরিত হয়। ইলেকট্রন মেঘের এ ধরনের স্থানান্তরকে আয়ন বিকৃতি বা পোলারায়ন বলে।

দৈত্যাকার অণু কাকে বলে?

উত্তরঃ অতি উচ্চ আণবিক ভর বিশিষ্ট যৌগের অণুকে দৈত্যাকার অণু বলে। যেমন SiO2 এর বহু সংখ্যক অণু একত্রিত (SiO2)n আণবিক গুচ্ছ সৃষ্টি করে। তাই এ পলিমারিক অণুর আণবিক ভর অত্যন্ত বেশি হয়। এজন্য একে দৈত্যাকার অণু বলে। অণুতে স্থায়ী ডাইপোলের জন্য এমন হয়।

প্রশ্ন-১৭। হাইড্রোজেন বন্ধন কাকে বলে?

উত্তরঃ যে আকর্ষণ বলের প্রভাবে একটি অণুর হাইড্রোজেন একই বস্তুর অপর অণুর তড়িৎ ঋণাত্মক পরমাণুর সাথে সংযোজিত হয়ে বৃহদাকার আণবিক গুচ্ছ গঠন করে তাকে হাইড্রোজেন বন্ধন বলে।

প্রশ্ন-১৮। ক্যাটায়ন কাকে বলে?

উত্তরঃ ইলেকট্রন ত্যাগের পর কোন একটি পরমাণু ধনাত্মক চার্জগ্রস্ত হলে তাকে ক্যাটায়ন বলে।

প্রশ্ন-১৯। সঞ্চারণশীল π-ইলেকট্রন কাকে বলে?

উত্তরঃ সাধারণত একান্তর দ্বিবন্ধন বিশিষ্ট যৌগে ডিলোকালাইজেশনে অংশগ্রহণকারী π-ইলেকট্রনকে ডিলোকালাইজড বা সঞ্চারণশীল π-ইলেকট্রন বলে।

প্রশ্ন-২০। ধাতব ধর্ম এবং অধাতব ধর্ম কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো মৌলের পরমাণুর ইলেকট্রন বর্জন করে ক্যাটায়নে পরিণত হওয়ার প্রবণতাকে সেই মৌলের ধাতব ধর্ম বলে। অপরপক্ষে ইলেকট্রন গ্রহণ করে অ্যানায়ন হওয়ার প্রবণতাকে সেই মৌলের অধাতব ধর্ম বলে।

প্রশ্ন-২১। পর্যায়বৃত্ততা কাকে বলে?

উত্তরঃ পর্যায় সারণির মৌলসমূহের পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে নির্দিষ্ট ব্যবধান অন্তর ধর্মের পুনরাবৃত্তি হওয়ার ঘটনাকে পর্যায়বৃত্ততা বলে।

প্রশ্ন-২২। সিগমা বন্ধন কাকে বলে?

উত্তরঃ সমযোজী বন্ধন গঠনের সময় দুটি পারমাণবিক অরবিটালের মুখোমুখি অধিক্রমণকে সিগমা বন্ধন বলে।

প্রশ্ন-২৩। হ্যাজার্ড সিম্বল কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো কোনো Reagent পাত্রে বিভিন্ন সতর্কীকরণ চিহ্ন ব্যবহার করা হয় যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, এ সকল চিহ্নকে হ্যাজার্ড সিম্বল বলে।

প্রশ্ন-২৪। অরবিটাল কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো পরমাণু নিউক্লিয়াসের চতুর্দিকে নির্দিষ্ট যে বিশেষ ত্রিমাত্রিক অঞ্চলে ইলেকট্রন প্রাপ্তির সর্বোচ্চ সম্ভাব্যতা থাকে তাকে অরবিটাল বলে।

প্রশ্ন-২৫। আণবিক অরবিটাল কি?

উত্তরঃ দুটি অরবিটালের অধিক্রণের ফলে পরমাণু দুটির নিউক্লিয়াসের মাঝামাঝি স্থানে ইলেকট্রন মেঘের সাধারণ ঘনত্ব বিশিষ্ট একটি ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়, এটাকে আণবিক অরবিটাল বলা হয়। এ অবস্থায় উভয় পরমাণুর নীট আকর্ষণ শক্তি সবচেয়ে বেশি হয়।

শোষণ বর্ণালী কাকে বলে?

উত্তর : পরমাণুকে উত্তেজিত করলে সর্বশেষ শক্তিস্তরের ইলেকট্রন শক্তি শোষণ করে উচ্চ শক্তিস্তরে যাওয়ার ফলে যে বর্ণালি পাওয়া যায় তাকে শোষণ বর্ণালী বলে।

প্রশ্ন-২৬। ডিজেনারেট ও নন-ডিজেনারেট অরবিটাল কাকে বলে?

উত্তরঃ একই উপশক্তিস্তরের যেসব অরবিটালের শক্তি অভিন্ন হয়, তাদেরকে ডিজেনারেট অরবিটাল বলে। যেমন— Px, Py, Pz অরবিটালসমূহ ডিজেনারেট অরবিটাল।

আবার, কোনো উপশক্তিস্তরে যেসব অরবিটালের শক্তি ভিন্ন হয় তাদেরকে নন-ডিজেনারেট অরবিটাল বলে।

প্রশ্ন-২৭। তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ কোন অণুতে উপস্থিত দুটি পরমাণুর মধ্যে শেয়ারকৃত ইলেকট্রন জোড়াকে কোনো একটি পরমাণুর নিজের দিকে টানার ক্ষমতাই হচ্ছে সংশ্লিষ্ট পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা। যেমন- HCl অণুতে শেয়ারকৃত ইলেকট্রন যুগল Cl পরমাণুর দিকে অধিক ঝুঁকে থাকে। তাই Cl (3) এর তড়িৎ ঋণাত্মকতা H (2.1) এর চাইতে বেশি।

প্রশ্ন-২৮। হ্যালোজেন বলতে কী বুঝ?

উত্তরঃ বিজ্ঞানী বার্জেলিয়াস ‘হ্যালোজেন’ নামটি প্রদান করেন। হ্যালোজেন শব্দটি দুটি গ্রিক শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। শব্দ দুটি হলো Hals ও Genus। Hals শব্দের অর্থ সামুদ্রিক লবণ আর Genus অর্থ উৎপন্ন করা। অর্থাৎ হ্যালোজেন শব্দের অর্থ সামুদ্রিক লবণ উৎপাদনকারী। সমুদ্রের পানিতে ক্লোরিন (Cl), ব্রোমিন (Br) ও আয়োডিন (I) এর লবণ পাওয়া যায়।

প্রশ্ন-২৯। HBr একটি পোলার অণু- ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ HBr পোলার অণু কারণ সমযোজী বন্ধন গঠনে অংশগ্রহণকারী পরমাণু দুটির তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্য 0.5 থেকে 1.7 এর মধ্যে হলে সংশ্লিষ্ট অণু পোলার অণু হবে। HBr অণুটি একটি পোলার অণু। কারণ ব্রোমিন ও হাইড্রোজেন পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান যথাক্রমে 2.8 ও 2.1 এবং পার্থক্য (2.8 – 2.1) = 0.7, তাই HBr অণু পোলার হয়।

ZnO কে উভধর্মী অক্সাইড বলা হয় কেন?

উত্তরঃ যেসব অক্সাইড অম্ল ও ক্ষার উভয়ের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে তাদেরকে উভধর্মী অক্সাইড বলে।

ZnO একটি উভধর্মী অক্সাইড। কেননা এটি অম্ল ও ক্ষারের উভয়ের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে। ZnO অক্সাইড যখন কোনো অম্লের সাথে বিক্রিয়া করে, তখন এটি ক্ষার হিসেবে আচরণ করে। আবার যখন কোনো ক্ষারের সাথে বিক্রিয়া করে তখন অম্ল হিসেবে ক্রিয়া করে।

ক্ষার হিসেবে ZnO : ZnO + 2HCl → ZnCl2 + H2O

এসিড হিসেবে ZnO : ZnO + 2NaOH → Na2ZnO2 + H2O

প্রশ্ন-৩০। শর্তসহ ফাযানের নিয়ম লেখো।

উত্তরঃ ফাযানের শর্তসমূহ হচ্ছে-

 

  • ক্যাটায়নের আকার যত ক্ষুদ্র হবে পোলারন তত বৃদ্ধি পাবে এবং তড়িৎযোজী বন্ধনের সমযোজী বৈশিষ্ট্যও তত অধিক হবে।
  • অ্যানায়নের আকার যত বড় হবে বন্ধনের সমযোজী বৈশিষ্ট্যও তত বেশি হবে।
  • ক্যাটায়ন ও অ্যানায়নের চার্জ যত বেশি হবে বন্ধনের সমযোজী বৈশিষ্ট্যও তত অধিক হবে।
  • ক্যাটায়ন ও অ্যানায়নের d ও f অরবিটালে ইলেকট্রন থাকলে পোলারনের মাত্রা বেশি হয়। ফলে বন্ধনের সমযোজী বৈশিষ্ট্যও বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্ন-৩১। VSEPR Theory ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ VSEPR তত্ত্ব অনুযায়ী যদি কোন অণুতে পরমাণুর যোজ্যতা স্তরের ইলেকট্রন সম্বলিত অরবিটালগুলো ত্রিমাত্রিক স্থানে এভাবে বিন্যস্ত হয় যে, তাদের একটি অন্যটি হতে যতটুকু সম্ভব সবচেয়ে বেশি দূরত্বে থাকে তবে অণুটি বেশি স্থায়ী হয়। কেন্দ্রীয় পরমাণুর যোজ্যতা স্তরের ইলেকট্রন জোড়গুলোর মধ্যকার বিকর্ষণ মাত্রার ক্রম নিম্নরূপ হয়।
মুক্ত জোড়-মুক্ত জোড় বিকর্ষণ > মুক্ত জোড়-বন্ধন জোড় বিকর্ষণ > বন্ধন জোড় – বন্ধন জোড় বিকর্ষণ।
বা, lp – 1p> lp – bp > bp – bp

 

প্রশ্ন-৩২। AgF পানিতে দ্রবণীয় কিন্তু AgCl নয় কেন? ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ সিলভার হ্যালাইডসমূহের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, AgF থেকে AgI পর্যন্ত দ্রাব্যতা কমতে থাকে। AgF পানিতে দ্রাব্য, কিন্তু AgCl অদ্রবণীয়। এখানে F- আয়নটি Cl- আয়নের তুলনায় অত্যন্ত ক্ষুদ্র। বৃহদাকার আয়ন হওয়ার প্রেক্ষিতে ক্লোরাইড আয়নের ইলেকট্রন মেঘ অধিকতর পোলারিত এবং AgF এর তুলনায় AgCl অধিকতর সমযোজী বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। এ কারণে AgF পানিতে দ্রবণীয়, কিন্তু AgCl অদ্রবণীয়।

প্রশ্ন-৩৪। CaCl2 ও AlCl3 এর মধ্যে কোনটি অধিক সমযোজী এবং কেন?

উত্তরঃ CaCl2 ও AlCl3 যৌগদ্বয়ে একই অ্যানায়ন বিদ্যমান বলে ফাযানের সূত্রানুযায়ী অ্যানায়নের আকার ও চার্জ এখানে কোন প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু ক্যাটায়ন Ca2+ ও Al3+ এর মধ্যে Al3+ এ চার্জ ঘনত্ব বেশি হওয়ায় AlCl3 যৌগে পোলারায়ন ঘটে বেশি। এ কারণে CaCl2 অপেক্ষা AlCl3 অধিক সমযোজী প্রকৃতির হয়।

প্রশ্ন-৩৫। সমান সংখ্যক ইলেকট্রন থাকা সত্ত্বেও Cl- এর ব্যাসার্ধ K+ এর ব্যাসার্ধ অপেক্ষা বেশি হয় কেন?

উত্তরঃ K+ এবং Cl- আয়নে সমান সংখ্যক ইলেকট্রন থাকলেও এদের প্রোটন সংখ্যা যথাক্রমে থাকে 19 এবং 17। এই কারণে সর্ববহিঃস্থ ইলেকট্রন সমূহের প্রতি নিউক্লিয়াসে প্রোটনের আকর্ষণ Cl- আয়ন অপেক্ষা K+ আয়নে বেশি হয়। তাই CI- আয়নের ব্যাসার্ধ K+ আয়ন অপেক্ষা বেশি হবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *