যোগাশ্রয়ী প্রোগ্রাম গঠনের শর্ত ও সুবিধাগুলো কি কি?

যোগাশ্রয়ী প্রোগ্রাম গঠনের শর্ত

যোগাশ্রয়ী প্রোগ্রাম গঠনের শর্তগুলো নিম্নরূপঃ

  • সমস্যার অভীষ্ট ফাংশন অবশ্যই থাকতে হবে এবং তা সিদ্ধান্ত চলকের রৈখিক (একঘাতিক) ফাংশন রূপে প্রকাশযোগ্য হতে হবে।
  • উৎপাদনে বিকল্প কার্যক্রম থাকতে হবে, যাতে সুবিধাজনক কার্যক্রম বেছে নেয়া যায়। যেমনঃ কোনো পণ্য দুইটি পৃথক যন্ত্রের দ্বারা উৎপাদন করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে কোনটিতে অধিক সুবিধা পাওয়া যায় তা নির্ণয় করতে হবে।
  • সিদ্ধান্ত চলকগুলি একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত হবে যাতে তাদের মধ্যে গাণিতিক সম্পর্ক তৈরি করা যায়। চলকগুলি ঋণাত্মক হবে না।
  • সম্পদের বা উৎসের সীমাবদ্ধতা থাকতে হবে।
  • সীমাবদ্ধতা বা শর্তগুলি সিদ্ধান্ত চলকের দ্বারা রৈখিক সমীকরণ বা অসমতা আকারে প্রকাশযোগ্য হতে হবে।
যোগাশ্রয়ী প্রোগ্রামের সুবিধা
যোগাশ্রয়ী প্রোগ্রামের মূল সুবিধা হলো সর্বনিম্ন বিনিয়োগে সর্বোচ্চ সুবিধাজনক অবস্থায় রূপদান। বিষয়টি বিশদভাবে নিচে আলোচনা করা হলো।
(i) সীমিত অর্থ, কাঁচামাল, জনবল এবং যন্ত্র দক্ষতার সাথে সঠিক ব্যবহার ও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন।
(ii) তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতে ভবিষ্যত উৎপাদনকে টেকসই ও অধিকতর লাভজনক করার জন্য দক্ষতা ও দূরদৃষ্টি বৃদ্ধিকরণ।
(iii) উৎপাদন ও বিপণনে সকল প্রকার দৃশ্যমান প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে পরিচয় এবং তা অতিক্রমের পন্থা অবলম্বনের জ্ঞান অর্জন।
(iv) অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত ও দূরীকরণের দ্বারা উৎপাদন বা বিপণন ব্যয় কমানো এবং মুনাফা বৃদ্ধি।
(v) প্রাপ্ত তথ্য, উপাত্ত, সম্পদ, মূলধন ও সুবিধা-অসুবিধাকে বিবেচনা করে ভবিষ্যত পরিকল্পনাকে আরও টেকসই ও বেগবান করা।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *