প্রশ্ন-১। ডেটা হার কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রতি সেকেন্ডে যতগুলো বিট বা শব্দ পড়া বা লেখা যায় তাকে বলে ডেটা হার।
প্রশ্ন-২। কম্পিউটার ডিজাইনে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহৃত হয় কেন?
উত্তরঃ ডিজিটাল সিগন্যালে 0 কে OFF এবং 1 কে ON হিসেবে বিবেচনা করলে ডিজিটাল ডিভাইস সহজে বোধগম্য হয় বিধায় কম্পিউটারে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। বাইনারি সিস্টেম দুটি অবস্থায় থাকায় ইলেকট্রনিক সার্কিট ডিজাইন খুবই সহজ হয়৷ এ সকল নানাবিধ কারণে কম্পিউটার ডিজাইনে বাইনারি পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন-৩। কম্পিউটারের মৌলিক সীমাবদ্ধতা কী?
উত্তরঃ কম্পিউটার একটি যন্ত্র বিশেষ যার নিজস্ব চিন্তাশক্তি, বুদ্ধিমত্তা বা বিচার বিশ্লেষণ ক্ষমতা নেই। এটি নিজে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, কেবল মানুষের দেওয়া নির্দেশ অনুসারে কাজ করে।
প্রশ্ন-৪। নেপিয়ারের অস্থি কি?
উত্তরঃ স্কটল্যান্ডের গণিতবিদ জন নেপিয়ার (১৫৫০-১৬১৭) হিসাব-নিকাশের জন্য হাতির দাঁতের ছোট ছোট অংশ দিয়ে একটি যন্ত্র তৈরি করেন যাকে নেপিয়ারের অস্থি বলা হয়। নেপিয়ারের অস্থি ছিল এনালগ বা তুলনা ভিত্তিক গণনার যন্ত্র। অন্যদিকে এ্যাবাকাস ছিল সংখ্যা ভিত্তিক গণনার যন্ত্র। গণিতবিশারদ জন নেপিয়ার গণিতে লগারিদম প্রবর্তন করায় গণনা আরও সহজ হয়।
প্রশ্ন-৫। ল্যাটেন্সি টাইম কি?
উত্তরঃ রিড-রাইট হেডকে সঠিক ট্রাকে নিয়ে যাওয়ার পরে উপযুক্ত শব্দ তার নিচে আসতে যে সময় লাগে তাকে বলে ল্যাটেন্সি সময়। সুতরাং, সিক ও ল্যাটেন্সি সময় যোগ করলে অ্যাকসেস সময় পাওয়া যায়। চৌম্বক ডিস্কের একবার পূর্ণ আবরণে যে সময় লাগে তার অর্ধেক হলো গড় ল্যাটেন্সি সময়।
প্রশ্ন-৬। সিরিয়াল অ্যাকসেস কি?
উত্তরঃ যদি প্রথম অবস্থান থেকে শুরু করে বিটগুলোকে পর পর অ্যাকসেস করতে হয় তাহলে তাকে সিরিয়াল বা সিকোয়েনশিয়াল অ্যাকসেস বলে। এক্ষেত্রে যে বিটের অবস্থান যত পরে তার অ্যাকসেস সময় তত বেশি। এটি একটি ধীরগতি ব্যবস্থা। যেমন, চৌম্বক টেপ।
প্রশ্ন-৭। মিসড এর পূর্ণরূপ কি?
উত্তরঃ মিসড এর পূর্ণরূপ- Multiple Instruction Single Data।
প্রশ্ন-৮। মিমড (MIMD) এর পূর্ণরূপ কি?
উত্তরঃ মিমড (MIMD) এর পূর্ণরূপ- Multiple Instruction Multiple Data।
প্রশ্ন-৯। র্যান্ডম অ্যাকসেস কি?
উত্তরঃ যদি কোন মেমোরি অবস্থানের বিট বা শব্দকে একবারেই অ্যাকসেস করা যায় তবে তাকে বলে র্যান্ডম অ্যাকসেস। এক্ষেত্রে কোন অবস্থানের বিটকে অ্যাকসেস করতে হলে তার আগের অবস্থানের বিট অ্যাকসেস করা দরকার হয় না।
প্রশ্ন-১০। শর্টকার্ট কী (Key)-এর মাধ্যমে লেখাকে স্থানান্তর করার নিয়ম কি?
উত্তরঃ শর্টকার্ট কী ব্যবহার করে লেখাকে স্থানান্তর করার নিয়ম :
১. যে লেখাকে স্থানান্তর করা হবে, তাকে Block করতে হবে।
২. Ctrl + X চাপতে হবে।
৩. যেখানে লেখাকে স্থানান্তর করা হবে, সেখানে Cursor রাখতে হবে।
৪. Ctrl + V চাপতে হবে।
প্রশ্ন-১১। ডকুমেন্ট প্রিন্ট নেয়ার পদ্ধতি কি?
উত্তরঃ ডকুমেন্ট খোলা থাকা অবস্থায় প্রিন্ট আইকনে মাউস দিয়ে ক্লিক করতে হবে, অথবা Ctrl ও P কী দুটি চাপতে হবে। একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। এরপর এন্টার কী চাপলে ডকুমেন্টটি প্রিন্ট হবে।
প্রশ্ন-১২। স্ট্যাটাস রেজিস্টার কি?
উত্তরঃ স্ট্যাটাস রেজিস্টারকে কনডিশন কোড বা ফ্ল্যাগ রেজিস্টারও বলা হয়। গাণিতিক এবং যুক্তিমূলক কাজ সম্পাদনের উদ্ভূত অবস্থা নির্দেশ করার জন্য এ রেজিস্টার একেবারে ১ বিট ফ্ল্যাগ ধারণ করে থাকে। যেমন– উপাত্তের অতিপ্রবাহ ঘটছে কি না ফল শূন্য কি না, ঋণাত্মক না ধনাত্মক ইত্যাদি নির্দেশ করে।
প্রশ্ন-১৩। কম্পিউটার এইডেড ম্যানুফ্যাকচারিং বা ক্যাম কী?
উত্তরঃ কম্পিউটার ব্যবহার করে উৎপাদন যন্ত্রপাতিকে নিয়ন্ত্রণ করাই হলো কম্পিউটার এইডেড ম্যানুফ্যাকচারিং বা ক্যাম। এক্ষেত্রে কম্পিউটার ইন্টিগ্রেটেড ম্যানুফ্যাকচারিং (সিআইএম) পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়ে থাকে যা উৎপাদন প্রক্রিয়ার কার্যক্রমগুলোকে সমন্বিত করে।
সুপার মাইক্রোকমপিউটার কি?
উত্তরঃ সুপার মাইক্রোকমপিউটার সবচেয়ে শক্তিশালী মাইক্রোকমপিউটার। এর আরেক নাম ওয়ার্ক ষ্টেশন। এ শ্রেণীর কমপিউটারের ক্ষমতা মিনি কমপিউটারের কাছাকাছি বিধায় এগুলো মেইনফ্রেমের স্থান দখল করে নিচ্ছে।
Bit, Byte, KB, MB, GB এবং TB-এর মধ্যে সম্পর্ক কি?
উত্তরঃ কম্পিউটারের স্মৃতিতে বিট, বাইট বা কম্পিউটারের শব্দ ধারণের সংখ্যা দ্বারা ধারণ ক্ষমতা নির্দেশ করা যায়। সাধারনতঃ বাইট দিয়ে স্মৃতির ধারণ ক্ষমতা প্রকাশ করা হয়। তবে বলা দরকার যে বিট হচ্ছে কম্পিটারের সংখ্যা পদ্ধতির ক্ষুদ্রতম একক। এদের মধ্যে সম্পর্ক নিচে তুলে ধরা হলঃ
8 Bit = 1Byte
1024 Byte = 1 Kilobyte (KB) [1 Byte = 1 Character]
1024 Kilobyte = 1 Megabyte (MB)
1024 Megabyte = 1 Gigabyte (GB)
1024 Gigabyte = 1 Terabyte (TB)
কম্পিউটারের ভিতর কী কী অংশ থাকে?
উত্তরঃ একটি কম্পিউটারে নিম্নলিখিত অংশগুলো বিদ্যমান থাকে–
১. মাদারবোর্ড (Mother Board):
- প্রসেসর
- ম্যথ কো প্রসেসর
- র্যাম (RAM)
- রম (ROM)
- Dual-In-Line Package
- ব্যাটারি
- পাওয়ার কানেক্টর
- সিরিয়াল পোর্ট
- প্যারালাল পোর্ট
- ইউএসবি পোর্ট
- কী-বোর্ড কানেক্টর
২. ডিসপ্লে অ্যাডাপ্টার (Display Adapter)
- মনোকর্ম গ্রাফিক্স অ্যাডাপ্টার (MGA)
- কালার গ্রাফিক্স অ্যাডাপ্টার (CGA)
- ভিডিও গ্রাফিক্স অ্যাডাপ্টার (VGA)
- ইনথ্যান্স গ্রাফিক্স অ্যাডাপ্টার (EGA)
- সুপার ভিডিও গ্রাফিক্স অ্যাডাপ্টার (SGAV)
৩. Hard Disk Controller
- Floppy Disk Controller
- CD-ROM
- মাল্টি I/O কার্ড
- Power Supply Unit