তৃতীয় অধ্যায় : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহার, ৬ষ্ঠ শ্রেণির আইসিটি

অ্যান্টিভাইরাস কাকে বলে?

উত্তর : ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে আইসিটি যন্ত্রকে রক্ষা করতে যে প্রোগ্রাম ব্যবহৃত হয় তাকে অ্যান্টিভাইরাস বলে। যেমনঃ এভিজি (AVG), এভিরা (Avira), এভাস্ট (Avast), নরটন, পান্ডা ইত্যাদি।

ছোট কম্পিউটারকে কী বলা হয়?

উত্তর : ল্যাপটপ।

আমাদের দেশের বিদ্যুৎ প্রবাহের ভোল্টেজ কত?

উত্তর : ২২০ ভোল্ট।

ইউপিএস ব্যবহারের উদ্দেশ্য কী?

উত্তর : নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ পাওয়া।

কম্পিউটার ভাইরাস বলতে কী বোঝ?

উত্তর : কম্পিউটার ভাইরাস হলো এক ধরনের অজানা ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাহ হয়। মানুষের তৈরি কম্পিউটার ভাইরাস আসলে একটি ছোট প্রোগ্রাম ছাড়া আর কিছুই নয়। আজকাল কম্পিউটার নেটওয়ার্ক দিয়েও এটি খুব সহজে অনেক কম্পিউটারের মাঝে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

একটা কম্পিউটার থেকে যদি কোনো সিডি বা পেনড্রাইভে করে কিছু একটা কপি করা হয় তাহলে নিজের অজান্তে সেখান থেকে ভাইরাসটাও কপি হয়ে যায়। তাই অন্য কম্পিউটার থেকে কিছু কপি করতে হলে সব সময়ই খুব সতর্ক থাকা উচিত।

মানুষ বৈদ্যুতিক শক অনুভব করলে শরীরে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে?

উত্তর : মানুষের শরীর বিদ্যুৎ পরিবাহী। বিদ্যুতের ভোল্টেজ ৫০ ভোল্টেজের বেশি হলে আমরা সেটা অনুভব করতে পারি। সুতরাং কেউ যখন ঐ পরিমাণ ভোল্টের বেশি বিদ্যুতের স্পর্শ পান তখন তিনি বিদ্যুতায়িত হন। ৫ বিদ্যুতায়িত হলে মানুষের শরীরে কিছু অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। সাধারণত মানুষের হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন করতে বা মাংশপেশী ব্যবহার করে হাত-পা কে নাড়াচাড়া করার জন্যে মস্তিস্ক থেকে স্নায়ুর ভিতর দিয়ে সংকেত পাঠানো হয়।

কম্পিউটারের নিরাপদ ব্যবহারের জন্য কোন কোন বিষয়ের প্রতি নজর রাখতে হবে?

উত্তর : কম্পিউটারের নিরাপদ ব্যবহারের জন্য যে সমস্ত বিষয় নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার তার অন্যতম হলো বৈদ্যুতিক সংযোগ। কখনই খোলা তারের প্লাস্টিক সরিয়ে প্লাগে ঢুকিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া উচিত নয়। বৈদ্যুতিক সংযোগ ছাড়াও আর যে বিষয়টির প্রতি নজর দিতে হবে তা হলো, কম্পিউটারে বাতাস প্রবাহ যেন সঠিক থাকে।

কারণ কম্পিউটারের প্রসেসর কাজ করার সময় অনেক গরম হয়ে থাকে। তাই কম্পিউটারের ভেতরের তাপমাত্রা বাইরের তাপমাত্রার চেয়ে অনেক গরম হয়।কম্পিউটারের ভেতরের ফ্যান এই গরম বাতাসকে ঠেলে বের করে বাইরের থেকে ঠান্ডা বাতাস টেনে নেয়। সুতরাং নিশ্চিত করতে হবে যেন বাতাস ঢোকার এবং বের হবার পথ কোনো ভাবেই যেন বন্ধ না হয়। এ সমস্ত বিষয় লক্ষ রাখতে অনেক দিন কম্পিউটার ভালো রাখা যায়।

আইসিটি যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ বলতে কী বুঝ?

উত্তর : আইসিটি বা কম্পিউটার এর বিভিন্ন অংশ সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য যে নিয়মনীতি অনুসরণ করতে হয় তা রক্ষণাবেক্ষণ নামে পরিচিত। যেহেতু কম্পিউটার একটি আইসিটি যন্ত্র এবং এর বিভিন্ন অংশ যেমন- মনিটর, কী-বোর্ড, মাউস, সিপিইউ ইত্যাদি রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। বিশেষ করে মনিটর, কী-বোর্ড ও মাউস পরিষ্কারের নিয়মনীতি অনুসরণ। নিজের ইচ্ছামতো পরিষ্কার করলে আইসিটি যন্ত্রপাতির ক্ষতি হবে। তাই রক্ষণাবেক্ষণের নিয়মনীতি অনুসারে পরিষ্কার রাখা উত্তম।

কম্পিউটারকে নিরাপদ রাখতে কোন কোন বিষয়গুলো লক্ষ করতে হবে?

উত্তর : কম্পিউটারকে নিরাপদ রাখতে যে সকল বিষয়গুলো লক্ষ রাখতে হবে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

পানি বা তরল : কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় তার খুব কাছাকাছি পানি বা কোনো ধরনের ড্রিংক না রাখা ভালো। পানি বা অন্যান্য পানীয় বিদ্যুৎ পরিবাহী কম্পিউটারের ভিতর ঢুকে গেলে বৈদ্যুতিক সার্কিটগুলো শর্ট সার্কিট হতে পারে। এরকম কিছু হলে সাথে সাথে কম্পিউটার বন্ধ করে দীর্ঘ সময় একটা ফ্যানের নিচে রেখে দিতে হবে যেন পানিটুকু শুকিয়ে যায়।

ধুলোবালি: কম্পিউটারের ফ্যান যখন বাতাস টেনে নেয় তার সাথে ধুলোবালিও টেনে আনতে পারে। ধুলোবালি জমে যদি বাতাস ঢোকার এবং বের হবার পথগুলো বন্ধ হয়ে যায় তাহলে কম্পিউটার বেশি গরম হয়ে উঠতে পারে। তাই মাঝে মাঝে এ বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

মনিটর পরিষ্কার করার পদ্ধতি লেখ।

উত্তর : কম্পিউটারের মনিটর পরিষ্কার করতে শুরুতে কম্পিউটারের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। মনিটরের স্ক্রিন বা পর্দাটি ঠাণ্ডা না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। টিস্যু অথবা পাতলা নরম সুতি কাপড়ে গ্লাস ক্লিনার লাগিয়ে মনিটরের গ্লাসটি পরিষ্কার করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, যাতে গ্লাস ক্লিনারের দ্রবণ মনিটরের অফ/অনের বাটন ও মনিটরের পেছনের অংশ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে।

মনিটরের পর্দাটি ভেজা থাকলে শুকনো নরম কাপড় দিয়ে পর্দাটি হালকাভাবে মুছে পরিষ্কার করতে হবে। মনিটরটি এলসিডি বা এলইডি মনিটর হলে গ্লাস ক্লিনার কিংবা ভেজা কিছু দিয়ে পরিষ্কার করা যাবে না। এক্ষেত্রে শুকনো নরম কাপড় দিয়ে পর্দাটি পরিষ্কার করা উচিত।

অধিক কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে কী কী শারীরিক সমস্যা দেখা যায়?

উত্তর : অধিক কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে যেসব শারীরিক সমস্যা দেখা যায় সেগুলো নিম্নরূপ : i. পিঠে ব্যথা; ii. কোমরে ব্যথা; iii. আঙুলে ব্যথা; iv. চোখের সমস্যা (চোখে জ্বালা, চোখ দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি); v. মাথাব্যথা এসব শারীরিক সমস্যা অনেক সময় ব্যক্তির আচরণগত কিছু পার্থক্যও তৈরি করে। ফলে ব্যবহারকারীর উচিত সঠিক নিয়ম মেনে কম্পিউটার ব্যবহার করে উপরের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *